জাহিদুল ইসলাম, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি//
১৭ এপ্রিল ২০২৩।। গতকাল রবিবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় কিছু সময় পর তখন কুষ্টিয়া সার্কিট হাউজে ভারতীয় হাইকমিশনের কর্তা ব্যক্তিদের সাথে কুষ্টিয়া চেম্বার অফ কমার্স নেতৃবৃন্দের বৈঠক চলছিল। ওই বৈঠকে গণমাধ্যম কর্মী হিসেবে আমিসহ বেশ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী উপস্থিত ছিলাম। বৈঠকটি পূর্ব নির্ধারিতই ছিল। ভারতীয় হাই কমিশনারসহ হাই কমিশনের অন্যান্য কর্তা ব্যক্তিরাও সামনের সারিতে বসা। ওই সারির এক কোণে বসা ছিলেন দেশবরেণ্য শিল্পপতি বিআরবি গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মজিবুর রহমান। ইতোমধ্যে বৈঠক স্থলে প্রবেশ করলেন কুষ্টিয়ার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী অজয় সুরেকা ও সৈয়দা হাবিবা নামে এক নারী। এমন সময় আচমকা সৈয়দা হাবিবা আলহাজ্ব মজিবুর রহমানকে তাঁর আসন ছেড়ে তাকে বসার সুযোগ করে দিতে বলেন। এ সময় ওই নারীর আচরণে হতভম্ব গোটা সভা স্থলে থাকা থাকা নেতৃবৃন্দ । মেয়ের বয়সী এক নারীর এমন আচরণে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখাননি আলহাজ্ব মুজিবুর রহমান। তবে তাঁর চাহনি দেখে উপস্থিত সবার বুঝতে বাকি রইল না তিনি ভীষণ কষ্ট পেয়েছেন। নিরুপায় হয়েই উঠে পড়লেন তিনি। আড়াআড়ি দেয়াল ঘেঁষে বসা বেশ কয়েকজন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ। তাদের মধ্যে ছিলেন কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি হাজী রবিউল ইসলাম। তিনি তাঁর চেয়ার ছেড়ে বসার সুযোগ করে দিলে আলহাজ্ব মজিবর রহমানকে। ততক্ষণে সৈয়দা হাবিবা নামে ওই নারী চক্ষু লজ্জা উপেক্ষা করে বসে পড়লেন মজিবর রহমান যেই সোফাতে বসে ছিলেন ঠিক সেখানে ।
এখন প্রশ্ন উঠে কুষ্টিয়া তথা বৃহত্তর কুষ্টিয়ার ব্যবসায়িক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে ভারতীয় হাই কমিশনের কর্তা ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক চলছিল তাহলে কীভাবে সৈয়দা হাবিবা নামে ওই নারী বৈঠক স্থলে উপস্থিত হলেন? ভারতীয় হাই কমিশনের কর্তা ব্যক্তিদের আলহাজ্ব মজিবর রহমানকে সম্পর্কে ততটা ধারণা নাও থাকতে পারে। তাই বলে কি সৈয়দা হাবিবার মজিবুর রহমান সম্পর্কে ধারণা নেই? ওই নারীর এমন আচরণে উপস্থিত ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ বিক্ষুব্ধ হলেও ততক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেখাননি সফল আলোচনার ছন্দপতন ঘটবে বলে। গণমাধ্যমকর্মীও ব্যথিত হয়েছেন এমন আচরণে। ওই নারীর এমন আচরণের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক ভাবে বিরূপ মন্তব্য সমালোচনার ঝড় সৃষ্টি হয়েছে। যে যার মতো মন্তব্য ছুড়ে দিচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়…..।