প্রভাষক জাহিদ হাসান, জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ উপনির্বাচন আগামী ২৫ মে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের আর মাত্র ২ দিন বাকী। এতে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোট ৫ জন। আসন্ন জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ উপনির্বাচন সামনে রেখে পালে হাওয়া লেগেছে নৌকার, অন্যদিকে বাজার গরম করে রেখেছে কাপ-পিরিচ। যতই দিন যাচ্ছে ধীরে ধীরে ঘনিয়ে আসছে সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচন। আর মাত্র ২ দিন বাকী, এরই মাঝে গ্রুপিংয়ের দ্বিধাদ্বন্দ্ব ভুলে মাঠে ময়দানে কাজ করছেন আওয়ামী লীগের দলীয় নেতাকর্মীরা। মাঝি নুরুল ইসলাম বেশ শক্ত হাতেই ধরেছেন বৈঠা। নিশানা ঠিক রেখে সঠিক পথেই এগুচ্ছে নৌকা। অন্যদিকে হাট-বাজারের রেস্টুরেন্ট ও চায়ের দোকানে আলোচনার ঝড় তুলেছে সৈয়দ তালহা আলমের কাপ-পিরিচ মার্কা। গত নির্বাচনে অল্প ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি, কিন্তু এবার আর ছাড় দিতে রাজি নন। এদিকে সেই দৌড়ে পিছিয়ে নেই খেজুর গাছ, নিয়মিত গাছের গোড়ায় পানি দিচ্ছেন দলের নেতাকর্মীরা। ফলে খেজুর গাছের প্রার্থীও জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী অন্যদিকে চিলাউড়া হলদিপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান হারুন রাশীদ আনারস প্রতীক নিয়ে জোরেশোরে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তার সমর্থকরা জয়ের ব্যাপারে খুবই আশাবাদী। তবে লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আতাউর রহমানকে অন্যান্য প্রার্থীদের মতো গণসংযোগ করতে দেখা যায়নি।
আগামী বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদের উপনির্বাচন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তেমন জমে উঠেনি নির্বাচনী আমেজ। সরেজমিন জগন্নাথপুর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা গেছে গত নির্বাচনে যেরকম নির্বাচনী আমেজ ছিলো এবার তার ব্যাতিক্রম। ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদ না থাকায় শুধুমাত্র চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনই আমেজে ভাটা পড়ার মূল কারণ। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ নুরুল ইসলাম দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আলোচনা, পথসভা ও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
গত নির্বাচনে সৈয়দ তালহা আলম খেজুর গাছ প্রতীক নিয়ে বেশ চমক সৃষ্টি করেছিলেন। তার সমর্থকদের দাবী, গতবারের চেয়ে এবার তালহা আলমের অবস্থান বেশ শক্ত। যেদিকেই তাকাবেন আলোচনার টেবিলে সৈয়দ তালহা আলমের কাপ-পিরিচ থাকবেই। এমনকি আড়ালে বড় কয়েকটি রাজনৈতিক দলের মৌন সমর্থনও আদায় করার খবরও পাওয়া গেছে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আব্দুল কাইয়ূম কামালী নির্বাচনী মাঠে নতুন আগমন করায় নির্বাচনী হাবভাব বুঝে উঠতে কিছু সময় লেগেছে। তবুও অবিরাম গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। পাশে আছেন সাবেক এমপি এডভোকেট মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরী সহ দলের বড় বড় নেতা, তাদেরকে খেজুর গাছের জন্য ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ভোট চাইতে দেখে বিজয়ের স্বপ্ন দেখছেন আব্দুল কাইয়ুম কামালী (সিতু)।
নির্বাচনকে সামনে রেখে জগন্নাথপুর উপজেলাবাসী ও সচেতন মহলের একটাই প্রত্যাশা, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সৎ ও যোগ্য প্রার্থী চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন এবং জগন্নাথপুর উপজেলা একটি উন্নত মডেল উপজেলায় রুপান্তরিত হবে।