মনজুর (তানোর) রাজশাহী প্রতিনিধি ঃ
রাজশাহীর তানোরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নির্দেশ লঙ্ঘন ও
প্রতারণা করে সরকারি খাস পুকুর দখলের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার কলমা ইউনিয়নের (ইউপি) কলমা ভূতপুকুর এই ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় গ্রামবাসির মাঝে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে গত ৩০ এপ্রিল রোববার গ্রামবাসী পুকুর উদ্ধার ও অবৈধ প্রটেকশন ওয়াল অপসারণের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে (ইউএনও) লিখিত অভিযোগ করেছেন। কিন্ত্ত অভিযোগের দীর্ঘদিন অতিবাহিত হয়েছে, তবে অজ্ঞাত কারণে এখানো অবৈধ প্রটেক্টশন ওয়াল অপসারণ করা হয়নি।
জানা গেছে,উপজেলার কলমা ইউপির কলমা মৌজার, ৯০ নম্বর দাগে ভুতপুকুর নামে একটি সরকারি খাস পুকুর রয়েছে যাহার আয়তন ১২৩ শতক। বিগত ১৯৯২ সাল থেকে কয়েকটি পরিবার পুকুর পাড়ে ঘর করে বসবাস শুরু করেছে। প্রতি বছর সরকারিভাবে পুকুরটি ইজারা দেয়া হয়। এবছরেও ইজারা দেয়া হয়েছে। কিন্ত্ত ভূতপুকুর গ্রামের ফরমান আলীর পুত্র বিএনপি মতাদর্শী আহসান হাবিব ওরফে রুবেল রাতারাতি পাকা প্রটেকশন ওয়াল দিয়ে পুকুরের সিংহভাগ দখলে নিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছে পুকুরের ইজারা গ্রহীতা।
অপরদিকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) (তৎকালীন) পঙ্কজ চন্দ্র দেবনাথ অবৈধ প্রটেকশন ওয়াল অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্ত্ত ইউএনও’র নির্দেশ লঙ্ঘন করে রুবেল প্রটেকশন ওয়াল অপসারণ না আরো মজবুত করেছেন। এমনকি রুবেল রাঁতের আঁধারে বিল্লী থেকে পুকুর খননের মাটি এনে প্রটেকশন ওয়াল মাটি ভরাট করেছে। আর এসব মাটি বহনের সময় কাঁচা কাঁদামাটি পাকা রাস্তায় পড়ে কলমা-বিল্লী রাস্তা ঝুঁকিপুর্ণ হয়েছে পড়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী বলেন, হঠাৎ আওয়ামী লীগ নেতা হারুনের মদদে রুবেল জোরপুর্বক পাকা প্রটেকশন ওয়াল নির্মাণ করেছে। তারা বলেন,যারা বাঁধা দিয়েছিল তাদের গ্রামছাড়া করা ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। এবিষয়ে জানতে চাইলে স্থানীয় ইউপি সদস্য (মেম্বার) মন্টু বলেন, রুবেল জোরপুর্বক ওই অবৈধ প্রটেকশন ওয়াল নির্মাণ করেছেন। তিনি বলেন, গ্রামবাসী ওই প্রটেকশন ওয়াল অপসারণের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। এবিষয়ে স্থানীয় ভুমি কর্মকর্তা (তহসিলদার) বলেন, দ্রুত অবৈধ প্রটেকশন ওয়াল অপসারণে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবিষয়ে জানতে চাইলে আহসান হাবিব রুবেল এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি প্রটেকশন ওয়াল নির্মাণের পর জানতে পারেন এটা সরকারি খাস পুকুর। কিন্ত্ত প্রটেকশন ওয়াল নির্মাণে তার প্রায় তিন লাখ টাকা ব্যয় হয়ে গেছে। তিনি বলেন, ইউএনও স্যার তাকে প্রটেকশন ওয়াল অপসারণ করতে বলেছিল সত্য, তবে গ্রামবাসীর অনুরোধে সেটা রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পুকুর ইজারা গ্রহীতা আকতার হোসেন বলেন, অবৈধ প্রটেকশন ওয়াল অপসারণ করা না হলে পুকুরে মাচ চাষ করা সম্বব নয়, এতে তারা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত