বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে জিএমপি সদর থানার এসআই উৎপল দাসের নেতৃত্বে পুলিশেের চৌকস টিম হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা ও সোর্সের দেওয়া তথ্যমতে প্রথমে পুবাইল থানা এলাকায় এবং সর্বশেষ সদর থানাধীন ভোড়া (চৌকিদার বাড়ী) এলাকার সিদ্দিকুর রহমানের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে শিশু লাবিবকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এসময় অপহৃত শিশুকে ক্রয়ের জন্য অপেক্ষা মান এক বেদে নারীসহ ২জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অপহৃত শিশু মা হামিদা আক্তার (২২) জানান, আমার বড় ছেলে হাবিব (৭) ও ছোট ছেলে লাবিবকে নিয়ে সদর থানাধীন মাঝিরখোলা এলাকায় ভাড়া বাড়ীতে বসবাস করি। গত দেড় মাস আগে আমার বড় ছেলের হাটুতে ব্যাথা পাওয়ায় ছেলেকে নিয়ে সদর হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডে ভর্তি হই। ভর্তি থাকাকালীন সময়ে একপর্যায়ে গত ১ নভেম্বর বিকালে আমার বড় ছেলেকে দেখাশুনা করাকালে বোরকা পরিহিত অজ্ঞাতনামা ওই মহিলা কৌশলে আমার সাথে মিশে এবং সে আমাকে অজ্ঞান করে আমার ছোট ছেলে লাবিবকে অপহরণ করে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এবিষয়ে জিএমপি সদর থানার এসআই উৎপল দাস জানান, শিশু অপহরণের ঘটনাটি জানার পর থেকে সদর থানা পুলিশের কয়েকটি টিম বিভিন্নভাবে শিশুটিকে উদ্ধারে কার্যক্রম করতে থাকে। অবশেষে, আমরা একটি ছায়া অভিযান পরিচালনা করে শিশুটিকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করি।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরহণকারী সুলতানা খাতুন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলে অপহৃত শিশু লাবিবকে ক্রয়ের জন্য তারই বান্ধবী মোসাঃ ফারজানা আক্তার ঢাকা থেকে এসে তার বাসায় রাত্রি যাপন করে এবং সকাল হলেই সে শিশুটিকে নিয়ে ঢাকায় চলে যেত। এবিষয়ে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর সংশোধনী/২০০৩ এর ৭ ধারায় অপহরণকারীদের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু হয়েছে।
এ বিষয়ে অপরণকারীদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।