সানজিদ মাহমুদ সুজন,জেলা প্রতিনিধি, শরীয়তপুরঃ
শরীয়তপুরের জাজিরা ও পদ্মা দক্ষিণ থানার একটি জেলের দল গত ২৫ই অক্টোবর বিকাল সাড়ে পাঁচটায় চাঁদপুর মোহনা থেকে মাছ ধরে আসার পথে, জাজিরা থানার পালেরচড়ে পৌছালে, জাজিরা নৌ পুলিশের সামনে পড়ে সি-বোটটি। ঐ সিবোটের জেলেদের লক্ষ্য করে নৌ পুলিশ ধাওয়া করে,পূর্ব নাওডোবা, আলম খার কান্দির চড়ে পৌছালে, তিন রাউন্ড গুলি ছোড়ে।গুলিতে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। আহত মজিবর ফকির ছাড়া বাকী কয়েক জন পালাতে সক্ষম হয়।এমনটাই দাবি করেছে মজিবর ফকিরের পরিবার।
লোকজন অপর গুলিবিদ্ধ আনোয়ারকে পুলিশের ভয়ে লুকিয়ে সাত্তার মাদবরের ঘাট হতে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে,সরিয়ে ফেলে।
কিন্তু নিখোঁজ মোঃ মজিবর ফকির (৫৫), ছয় দিন হয়ে গেলেও তার কোনো খোঁজ আজো পাইনি পরিবার।
অনুসন্ধানে জানা যায় সী- বোটে থাকা জেলেদের কয়েক জনের নাম (১), শাওন (২) গুলিবিদ্ধ আনোয়ার, নিখোঁজ মোঃ মজিবর ফকির, বিল্লাল হোসেন (১), বিল্লাল (২), ইমন, বাবু ড্রাইভার, জুয়েল, এবং সুজন। এরা সকলেই জেলে পরিবারের।
নিখোঁজ মজিবর ফকিরের, চাচাতো ভাই, আলিআকবর ফকির অভিযোগ করেন, আমরা পরের দিন পদ্মা দক্ষিন থানায় গেলে তারা আমাদের অভিযোগ না নিয়ে জাজিরা থানায় যেতে বলে। জাজিরা থানায় গেলে তারা পদ্মা থানায় যেতে বলে। পরে আমরা বাধ্য হয়েই কোর্টের দারস্থ হয়েছি।
জননেত্রী মমতা ময়ী, পরীবার হারা মায়ের কাছে একটাই দাবি, আমার ভাইকে ফিরে পেতে আমাদের পরিবারকে সাহায্য করবেন।
পালিয়ে আসা জেলে সুজন জানান, ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে মাছ ধরে সুরেশ্বর থেকে পালেরচড়,আসা মাত্রই, যখন দেখা গেলো আমাদের ধরার জন্যই স্পীডবোট ধেয়ে আসছে, আমাদের সীবোটও তখন দ্রুত গতিতে চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করি। কিন্তু পুলিশের স্পীডবোটের গতি বেশী থাকায় দ্রুত আমাদের সীবোটের কাছে পৌছে যায় এবং গুলিকরে। এই গুলিতে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয় মজিবর ও আনোয়ার। অজ্ঞাতসারে মজিবরকে সিবোটে রেখেই তিরে উঠিয়ে পালিয়ে যাই। কিন্তু সীবোট গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পরে থাকে মজিবর ফকির। তাকে সহ সিবোর্ট নিয়ে চলে যায় নৌপুলিশ। এ সময় নৌপুলিশের সি বোর্ট চালাচ্ছিলো ইদ্রিস শেখ ( ৫০)
হালেম হাওলাদার ( ৩৫)
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জাজিরা থানায় একটি মামলা করে নৌ পুলিশ,এবং জেলেদের কাছ থেকে একটি সি বোর্ড জব্দ দেখায়।
এদিকে ঘটনার পরপরি ঘটনার বিষয়ে বেলায়েত হোসেন শিকদারকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের পরেই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়েছেন চাঁদপুর জোনের নৌ পুলিশ সুপার।
নৌ-পুলিশের দায়িত্ব প্রাপ্ত জহিরুল হক বিষয় গুলোকে অসিকার করে বলেন।আমরা সেই দিন পালেরচড় হতে একটি পরিত্যাক্ত সি-বোর্ট উদ্ধার করি,যার সাথে ছিলো প্রায় ৭০ মিটার জাল কয়েক কেজি ইলিশ মাছ।তার দাবি হয়তোবা জেলেদের ভিতরে কোন ঘটনা ঘটতে পারে বা তাট পরিবারো তাকে গুম করে আমাদের উপরে বদনাম দিতে পারে, এর আগেও নাকি তিনি কয়েক বছর লুকিয়ে ছিলেন বলে তারা দাবি করেন।তিনি আরো বলেন ঘটনার সত্যতা নির্নয়ে তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে।খুব শিঘ্রই সত্য উন্মোচন হবে।