ফয়ছল কাদির, সিলেট থেকেঃ-
সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতীয় চোরাচালান কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না। জয়দুল ও জুলহাসের নেতৃত্বে চোরাকারবারীরা বেপরোয়া ভাবে ভারতীয় চোরাচালান দেশে নিয়ে আসছে। অনেক ক্ষেত্রে জয়দুল ও জুলহাস চোরাকারবারীদের কাছ থেকেও নিয়মের অতিরিক্ত টাকা আদায় করার চেষ্টা করেন। ফলে চোরাকারবারীরা জয়দুল জুলহাস বাহিনীর সাথে একের পর এক সংঘর্ষ করে যাচ্ছে। তবে কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না পুলিশ বিজিবির নামে তাদের চাঁদাবাজি। জয়দুল ও জুলহাসের এমন চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট চোরাকারবারীরা। স্থানীয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোন ধরণের আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় স্থানীয়দের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জয়দুল ও জুলহাসকে গ্রেফতারের বদলে স্থানীয় আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা বুঙ্গাড়ীদের চুক্তি মাধ্যমে কিছু সংখ্যাক গরু-মহিষ এবং হাতে গুনা কয়েক বস্তা ভারতীয় পণ্য আটক করে জনসাধারনের আইওয়াশ করছে বলে জানান। তাও নাম মাত্র এক দুটি চালান আটক করেন। কিন্তু স্থায়ী ভাবে বন্ধ ও বড় ধরণের কোন অভিযান দিতে দেখা যায়নি।ভারতীয় পণ্য থেকে দৈনিক লাখ লাখ টাকার চাঁদা আদায় করছে বিজিবি ও পুলিশের অবৈধ আয়ের হাতিয়ার জয়দুল ও জুলহাস। সীমান্তের ৪৮ বিজিবির অধীনে জাফলং সীমান্ত এলাকা দিয়ে অবাধে আসছে চোরাচালান। নিরব ভূমিকা পালন করছে স্থানীয় প্রশাসন। তবে চোরাচালাদের বিরুদ্ধে অভিযানে মাঠে রয়েছে সিলেট র্যাব-৯ এর সদস্যরা। এই চোরাকারবারীদের নেতৃত্ব দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিজিবি’র নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি করছে লাইনম্যান জয়দুল, জুলহাস বিজিবির নামে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এই টাকার লেনদেন নিয়ে কয়েকদিন পড়পড় দফায় দফায় সংঘর্ষ হচ্ছে তাদের ও চোরাকারবারীদের মধ্যে। অবৈধ পথে আসা ভারতীয় গরু-মহিষের বৈধতা দিচ্ছে স্থানীয় গোয়াইনঘাট উপজেলার বিভিন্ন পশুরহাটবাজার। এছাড়া অন্যান্য পণ্য সিলেট নগরীতে নিরবে প্রবেশ করছে। এখানেও রয়েছে চোরাকারবারীদের প্রভাবশালী লাইনম্যানরা ।তারা আওয়ামীলীগ নেতাদের ছত্র-ছায়ায় রয়েছেন। ইতোমধ্যে লাইনের চাঁদা নিয়ে জাফলং সীমান্তে ২টি গ্রুপের মধ্যে মারামারির ঘটনাও ঘটেছে। লাইনম্যান পরিচয়দানরী জয়দুল ও জুলহাস তারা চোরাকারবারীদের প্রকাশ্যে নেতৃত্ব দিচ্ছে।বিনিময় রাতের আধারে লক্ষ লক্ষ টাকার চাঁদা দিচ্ছেন চোরাকারবারীরা। বানের পানির মতো সীমান্ত দিয়ে দেশে প্রবেশ করছে ভারতীয় নাছির বিড়ি মদ, ইয়াবা, মোটরসাইকেল গাড়ি, মোবাইল ও কসমেট্রিক্স গবাদিপশু গরু সহ ইত্যাদি সামগ্রী। কিন্তু জয়দুল ও জুলহাসের নেতৃত্ব থাকার কারণে কোন চোরাকারবারীর অবৈধ পণ্য আটক করেন না বিজিবি ও পুলিশ। স্থানীয় এলাকার জয়দুল মিয়া ও জুলহাস এই দুই ব্যক্তি এই চোরাকারবারীদের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে। তারা বিজিবি ও পুলিশের জয়দুল মিয়া, ও জুলহাসের মত লোকদের জন্য প্রশাসনের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে বলে মনে করেন এলাকার সচেতন মহল। আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনতে এই অবৈধ লাইনে চাঁদাবাজ হয়ে আসছেন জয়দুল মিয়া ও জুলহাস। প্রতিদিন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সীমান্ত এলাকায় মহড়া দিতে থাকে জয়দুল মিয়া, জুলহাস, ও তাদের একটি বিশাল বাহিনীর সদস্যরা। যার ফলে স্থানীয়রা প্রতিনিয়ত আতঙ্কে জীবন-যাপন করছেন। এদিকে গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং সংগ্রাম ও তামাবিল বিজিবি ক্যাম্পের আওতাধীন ১২৭২নং আন্তর্জাতিক পিলার হতে ১২৬৪নং পিলার এলাকা। অন্যান্য এলাকার তুলনায় এই এলাকার সুযোগ সুবিধা ভালো। ২ থেকে ৩ মিনিটের মধ্যে বর্ডারের জিরো পয়েন্ট এলাকায় বিনা বাঁধায় ঢুকতে পারে চোরাকারবারীদের গাড়ী সমুহ। নির্ধারিত টাকা লাইনম্যান জয়দুল মিয়া, জুলহাসের নিকট পরিশোধ করার পর পর কয়েক মিনিটের মধ্যে সীমান্তের সোনাটিলা, গুচ্ছগ্রাম, তামাবিল, জিরো পয়েন্ট, অন্যতম। সুযোগ সুবিধা ভাল থাকায় উপজেলার এই রোড গুলোদিয়ে অন্তত ১০ হতে ১৫ কোটি টাকার ভারতীয় মটর সাইকেল, মোবাইল হ্যান্ড সেট, শাড়ী, মহিষ,গরু, কসমেট্রিক্স, হরলিক্স, ইয়াবা, ফেন্সিড্রিল, বিভিন্ন ব্যান্ডের অফিসার চয়েস মদ, আমদানী নিষিদ্ধ ভারতীয় শেখ নাছির উদ্দিন বিড়ি, বিভিন্ন ব্যান্ডের সিগারেট, সুপারী, বাংলাদেশ হতে ভারতে পাচার হচ্ছে হাজার হাজার বাংলাদেশী শাকসবজি, ঢাল, নারী। বুঙ্গাড়ীদের গরু-মহিষের চালান আসছে এই গরু-মহিষের বৈধতা দিচ্ছে স্থানীয় গোয়াইনঘাট উপজেলার বিভিন্ন বাজারের ইজারাদাররা। এ ব্যাপারে জানতে চোরাকারবারি জয়দুল মিয়ার সাথে যোগাযোগ হলে তিনি প্রথম অবস্থায় পরিচয় চায়, সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে অর্থ দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। একপর্যায়ে ব্যর্থ হয়ে সাংবাদিককে বিভিন্ন ফোনের নাম্বার দিয়ে ফোন করে প্রাণনাশের হুমকি ধামকি দেয়। এবিষয়ে জানতে লাইনম্যান জুলহাস মিয়াকে ফোন করলে তিনি জানান এখন বর্তমানে আমি এই ব্যবসায় জড়িত নয় আমার নামে অনেক পত্রপত্রিকায় নিউজ লেখা লেখি হয়েছিল, বর্তমানে চোরাকারবারিদের সেল্টার দিচ্ছেন স্থানীয় চোরাকারবারি জয়দুল মিয়া,।