বিশেষ প্রতিনিধিঃ-
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার একটি রাস্তার উন্নয়নমূলক কাজে টেকসইকরণের প্রকল্পে নিম্নমানের পরিত্যক্ত ইট ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার পুনট ইউনিয়নের চাকলমূয়া-নিমেরপাড়া হতে জগডুম্বর যাওয়ার এক হাজার মিটার রাস্তার উন্নয়নকাজে এ ইট ব্যবহার করা হচ্ছে।জানা গেছে, গত ১৭ এপ্রিল চলতি বছরে গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেয়ারিং বোন বন্ড (এইচবিবি) করণ (দ্বিতীয় পর্যায়) ‘প্রকল্পের আওতায় কালাই উপজেলার পুনট ইউনিয়ন পরিষদের চাকলমূয়া-নিমেরপাড়া হতে জগডুম্বর যাওয়ার এক হাজার মিটার রাস্তার কাজ শুরু এবং ২৬ মে কাজটি শেষ হওয়ার সম্ভব্য তারিখ ছিল। তবে এই সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করতে পারে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সাবা চৌধুরীর স্বত্ত্বাধীকারী মো.রানা চৌধুরী। ৫৬ লাখ ৯৪ হাজার একশত দশ টাকা বাজেটের এই কাজে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
সরেজনিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তাটির কাজ প্রায়ই শেষের দিকে। একদিকে কাজ হচ্ছে আর একদিকে ট্রলির লোডের কারণে ভেঙ্গে যচ্ছে সলিং করা অনেক ইট। অসংখ্য ভাঙ্গা ইট রাস্তার পাশে ফেলা দেওয়া হয়েছে। আর এসব ভাঙ্গা ইট গুলো চাকলমূয়া গ্রামের কয়েকজন মহিলা বস্তায় ভরে বাড়িতে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।
তবে ওই এলাকার উৎসক জনতা বার বার দাবি জানিয়ে আসছিলো এই রাস্তার কাজ নিম্নমানের ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণ হচ্ছে বলে গ্রাম বাসািরা কাজের বাধা প্রদান করলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন কয়েক বার তাদের ধাওয়া করেছে বলেও অভিযোগ করেন৷৷
পুনট ইউনিয়নের নিমেরপাড়া গ্রামের অজ্ঞত ব্যক্তি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন রাস্তার কাজে যেগুলো ইট বিছানো হয়েছে এলা তো পড়ে থাকা ইট, এলা ভালো ইট না সব ভাঙ্গা চূড়া খারাপ ইট। কালাই থেকে একদিন ইউএনও আসছিল। হামি ইউএনও কে কলাম এইসব ইটা দিয়ে কাজ হইবো স্যার। তহন কোন হো-হা না বলে ইউএনও চলে যায়।
এ ব্যাপারে ওই প্রকল্পের ঠিকাদার মো.রানা চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার কাজ ভালো হচ্ছে কি হচ্ছে না তা দেখতে পারেন। সিডিউল মোতাবেক কাজ হইছে কিনা এটা দেখবে ইঞ্জিনিয়ার সাহেব আপনারা দেখে কি করবেন।
কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার টুকটুক তালুকদার বলেন,রাস্তাটি পরিদর্শন করে ঠিকাদারকে আমি সতর্ক করেছি। তারপরও নিম্নমানের ইট ব্যবহার করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেে পিআইওকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পরে কালাই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) (অতিঃ দাঃ) মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, রাস্তার কাজে ঠিকাদার অনিয়ম করছে। এর আগে থানা-পুলিশ পর্যন্ত হয়েছে। গত ৩০ জুনের আগের কাজ। কাজটা কিছুদিন বন্ধ ছিলো ইউএনও স্যারসহ আমরা পরিদর্শন করেছি। তিনি আরও বলেন নানা অভিযোগের ভিক্তিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।