বিশেষ প্রতিনিধিঃ- নিরেন দাস
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জয়পুরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক রেজার (৩২) বিরুদ্ধে জয়পুরহাট সদর থানায় চাঁদাবাজি ও মারধরের অভিযোগে একটি মামলা করেছেন এক ব্যক্তি।
সোমবার (৭ নভেম্বর) রাতে জয়পুরহাট সদর থানায় মামলাটি করেন ব্র্যাক সিড অ্যান্ড অ্যাগ্রো এন্টারপ্রাইজের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক সেলিম উর রহমান।
এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, প্রায় ১০ দিন আগে ব্র্যাক সিডের জয়পুরহাট প্রতিনিধি জহুরুল ইসলামের কাছে জয়পুরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক রেজা মোবাইল ফোনে ১০ বস্তা আলু বীজ ও এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন এবং তাকে দেখা করতে বলেন। এরপর সন্ধ্যায় দেখা করলে তার কাছে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে জহুরুলের কাছ থেকে আলু বীজ বিক্রির ২০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেন এবং অবশিষ্ট টাকা দ্রুত দিতে বলে চলে যান। এরপর সোমবার বিকালে জয়পুরহাট পৌর শহরের নতুনহাট সড়কে রাকিব ট্রেডার্স নামক দোকানে জহুরুলকে দেখতে পেয়ে সেখানে পুনরায় ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন।
সেখানেও টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে দোকান থেকে টেনে বের করে কিলঘুসি মেরে গুরুতর জখম করে। উপস্থিত লোকজন তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে রাতে রেজার নাম উল্লেখসহ ২০/২৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তির বিরুদ্ধে সদর থানায় চাঁদাবাজির মামলা করেন সেলিম উর রহমান।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে আবু বকর সিদ্দিক রেজা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করেন, কৃষকের পক্ষে তার (জহুরুল) সঙ্গে কথা বলেছি। রাজনৈতিক ভাবে আমাকে হেয় করার লক্ষ্যে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।
পরে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাকারিয়া হোসেন রাজার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ঘটনাটি মিথ্যা বানোয়াট,ছাত্রলীগের মান ক্ষুণ্ণ করার জন্য একটি মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন জেলার ফাদার সংগঠনের নেতৃবৃন্দদের জানানো হলে তারা বাদির সঙ্গে কথা বলেছেন এবং এ বিষয়ে জয়পুরহাট পৌরসভার মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক উভয়পক্ষে ডেকেছেন আগামীকাল ভুল বুঝাবুঝির বিষয়ে মিমাংসা করা হবে বলেও সভাপতি বলেন।
এদিকে জয়পুরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সিরাজুল ইসলাম জানান, এই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত সাপেক্ষে দেখা হচ্ছে।