স্টাফ রিপোর্টার:মো.লিমন হোসেন
গাজীপুর টঙ্গী ৫১ নং ওয়ার্ড সাতাইশ দাঁড়াইল এলাকার মর্শেদা বেগম নামে এক নারীকে মনির নামে এক ব্যাক্তি বিয়ে করে ৬ বছর সংসার করার পর ঐ নারীকে বাড়ি থেকে বের করে দিতে কাজল নামে এক ব্যাক্তিকে দিয়ে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে ঐ নারীর স্বামী মনির।
ভুক্তভোগী ঐ নারী জানায় ৬ বছর পূর্বে সাতাইশ দাঁড়াইল এলাকার মনিরুল ইসলাম এর সাথে পরিচয় হয়,পরিচিত হওয়ার এক পর্যায়ে সে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব প্রদান করে,এমনকি আমার সাথে একাধিক বার শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পরে, এমতাবস্থায় মনিরকে বিবাহের কথা বলিলে সে বিভিন্ন টালবাহানা করতে থাকে, এমনকি এলাকাবাসী আমাদের সম্পর্কের বিষয় জানতে পারলে,এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ মনিরকে ডেকে আমার সাথে সম্পর্কের বিষয় জিজ্ঞেসা করিলে তখন সে স্বীকার করে আমার সাথে তার সম্পর্কের কথা,পরবর্তী এলাকার গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ মনিরের সাথে আমাকে কোর্টের মাধ্যমে ইসলামী শরিয়াহ মোতাবেক ৫ লক্ষ টাকা দেনমোহর ধার্য করিয়া বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করান।বিবাহের পরবর্তী সময় আমার স্বামী মনির তার বাড়ির ৬ তলা ফাউন্ডেশন করার জন্য আমার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে সমিতি ও আমার ব্যবহারকৃত স্বর্নলংকার বিক্রি করে সর্বমোট ১০ লক্ষ টাকা প্রদান করি।পরবর্তী সময়ে আমার স্বামী তার স্বইচ্ছায় দুই কাঠা জমি আমার নামে রেজিঃ করে দিবে বলিয়া ট্রাম্পের মাধ্যমে অঙ্গীকার করে সাক্ষীগনের মোকাবেলায়।কিন্তুু গত ২৪/২/২০২৩ইং তারিখে আমার স্বামী তার পূর্বের স্ত্রীর বড় ভাই কাজল (৪৫) কে নিয়ে এসে আমাকে জোর পূর্বক ভাবে আমার বর্তমান বাসা থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে,এবং আমাকে আগামী ১ /৪/২০২৩ ইং তারিখে বের হয়ে যাওয়ার জন্য বলেন, আর বাসা থেকে বের হয়ে না গেলে আমার বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি করবে বলে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করে আসছে। এবং মনিরের সাথে বিবাহ ও তাকে টাকা দেওয়া এবং অঙ্গীকারকৃত জমি দেওয়ার বিষয় সম্পুর্ন অস্বীকার করে আসছে। আমি নেয় বিচার পাওয়ার জন্য টঙ্গী পশ্চিম থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। এলাকাবাসী জানায় মুর্শেদা এবং মনির কে আমরা স্বামী স্ত্রী হিসাবে দেখে আসছি,এবং এই বাড়ির সম্পূর্ণ কাজ মুর্শেদার মাধ্যমে হয়েছে।
এবিষয়ে টঙ্গী পশ্চিম থানা অফিসার ইনচার্জ শাহ আলম জানায় ঐ নারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে, বিষয়টি তদন্ত করে দেখে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।