মোঃ রাজু ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
দেশের উত্তরের কৃষি প্রধান জেলা ঠাকুরগাঁও। বড় কোন শিল্প কারখানা না থাকায় এষানকার মানুষের আয়ের মূল উৎস হয়ে দাড়িয়েছে কৃষি। মেশের অন্যান্য জেলা গুলির তুলনায় এখানকার কৃষি পণ্যের মান বেশ ভালো হয়। আর তাই কৃষকরাও ফসলের দাম পায় ভালো।
শীতকালিন বিভিন্ন সবজি ফলিয়ে এবার এ জেলার কৃষকরা বেশ ভালো লাভবান হচ্ছে। এরকম একটি সবজি লাউ।
ঠাকুরগাঁও থেকে দৈনিক প্রায় ৮০ হাজার পিস লাউ যাচ্ছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়। প্রতিদিন সন্ধ্যায় লাউ বোঝাই ট্রাক ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায় আর সকালে পৌছে যায় ঢাকায়। ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ছোট খোচাবাড়ি,নারগুন ও সেনুয়া এলাকা থেকে সবচেয়ে বেশি লাউ যাচ্ছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
লাউ ব্যবসায়ী আক্তারুজ্জামান জানান, গাড়ি ভাড়া বেড়েছে। এখন এখান থেকে ঢাকা পর্যন্ত ট্রাক ভাড়া ২০ হাজার টাকা। একটি ট্রাকে সাড়ে ৪ হাজার পিস লাউ পাঠানো যায়। প্রথম প্রথম প্রতি একশত লাউ ২ হাজার ৪শ টাকায় কিনতে হতো। এখন দাম কিছুটা কম, একশত পিস লাউ ৭০০ থেকে এক হাজার টাকা। কিন্তু গাড়ি ভাড়া ২০ হাজার টাকাই দিতে হচ্ছে। এই লাউ ঢাকায় নিয়ে গিয়ে অনেক দামে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা।
তিনি আরো বলেন, কিছু মধ্যস্বত্বভোগী ভ্যান বা ইজিবাইক নিয়ে কৃষকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে লাউ কিনে রিক্সা ও ভ্যান বোঝাই করে এই আড়তে নিয়ে আসেন। আমরা লাউয়ের আকার দেখে দরদাম করে লাউ কিনি। এক ট্রাক হলেই ঢাকায় পাঠিয়ে দেই। সদর উপজেলার নারগুন, রাণীশংকৈল ও হরিপুর থেকেও একই ভাবে লাউ যাচ্ছে ঢাকা ও চট্টগ্রামে।
লাউ ব্যবসায়ী মইনুল ও আহসান বলেন, শুধু ছোট খোচাবাড়ি এলাকা থেকে আমরা ৪০ হাজার লাউ প্রতিদিন ঢাকায় পাঠাই। জেলার অন্যান্য এলাকা যেমন নারগুন, বেগুনবাড়ি, সেনুয়া থেকে আনুমানিক আরো ৪০ হাজার পিস লাউ ট্রাক ও ঢাকাগামী কোচের ছাদে করে ঢাকায় যাচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জেলায় এবার লাউসহ ৮ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। ফলনও হয়েছে আশাতীত। ঠাকুরগাঁও থেকে লাউসহ বিভিন্ন সবজি দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠানো হচ্ছে বলে চাহিদা বেড়েছে, কৃষকও ভালো দাম পাচ্ছেন।