সুজন তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ
শীতের আগমনে রাজশাহীর তানোর বাজারে ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোশক কারিগরেরা। এবার শীতের আমেজ আগেই টের পাওয়ায় লেপ-তোশকের দোকানে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে । তবে তুলা, লেপের কাপড়, ফোমের দাম ও মজুরি গত বছরের তুলনায় বেশি বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা। বরেন্দ্র অঞ্চলের জনপদ তানোরে সন্ধ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই শীতের তীব্রতা দেখা দিচ্ছে। এই শীতে উষ্ণতা ছড়াতে লেপ-তোশক কম্বলের যেন জুড়ি নেই। তাই তানোরে লেপ- তোশকের দোকান গুলোতে চলছে লেপ বানানোর ধুম, যেন দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের।এবার জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আশ্বিন-কার্তিক থেকেই মোটামুটি শীত শুরু হয়েছে। এর তীব্রতা বাড়বে বলে মনে করছেন অনেকেই। আগে শীত শুরু হওয়ার কারণে অর্ডার বেশি পাওয়ায় লেপ-তোশকের কারিগরেরা খুব ব্যস্ত সময় পার করছেন। আদি যুগ থেকে শীতের হাত থেকে বাঁচতে লেপের ব্যবহার যেন অপরিহার্যভাবে চলমান রয়েছে। তাই লাল কাপড়ে তুলা ভরিয়ে সেলাইয়ে ব্যস্ত সময় অতিক্রম করছেন লেপ-তোশকের কারিগরেরা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,তানোর ও চৌবাড়িয়া বাজারে অনেক কয়েকটি লেপ-তোশকের দোকান রয়েছে। শীত মৌসুমে ব্যবসায়ীরা রেডিমেড লেপ তোশক তৈরি করে তা বিক্রি করছেন। লেপ কিনতে আসা শ্রী সুমন কুমার বলেন,আমি এবার বিয়ে করবো তাই আগে থেকে কিনে রাখতে হবে। তাই আমি দুইটি লেপ ও দুইটি বালিশ কিনতে এসেছি। এবার তুলার দাম একটু বেশি। তাই লেপের দাম চড়া। মেশিনে তুলা প্রস্তুত করে লেপ- তোশক বানানো হচ্ছে। এ ব্যাপারে লেপ-তোশক কারিগর মহসিন মিয়া বলেন, “প্রায় দুই মাস ধরে চলছে লেপ বানানোর কাজ। পুরো শীত জুড়ে চলবে এই কাজ। কাঁচামাল ও মজুরি মিলিয়ে এক একটি লেপের খরচ পড়ে প্রায় এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত। তুলার বিভিন্ন ধরন অনুযায়ী লেপ বানানোর খরচ কিছুটা কম-বেশি হয়ে থাকে