সোহেল রানা,কুড়িগ্রামঃ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে অবস্থিত দুটি সরকারি গাছ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি বা দরপত্র ছাড়াই বিক্রি করলেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. হাছেন আলী। রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পরিষদের ভেতরে অবস্থিত গোডাউনের পাশে দুটি গাছ কেটে কাঠ ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করার খবরে এলাকায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন দাস বলেন,ফাইল না দেখে বলা যাবে না। তবে প্রয়োজন হলে বিধি অনুযায়ী বিক্রি করা যেতে পারে। কিন্তু নিয়ম না মেনে বিক্রি করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। রোববার দুপুরে ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, দুজন মিস্ত্রি করাত দিয়ে গাছ কাটছেন। কারা অনুমতি দিয়েছেন জানতে চাইলে তাদের একজন সুভাস চন্দ্র বলেন,কাঠ ব্যবসায়ী ছায়েদ আলী আমাদের গাছ কাটতে পাঠিয়েছেন। এর বেশি কিছু জানি না। কাঠ ব্যবসায়ী ছায়েদ আলী বলেন,এলাকার অপর কাঠ ব্যবসায়ী মিল্টনের মাধ্যমে পাঁচ হাজার টাকায় গাছ দুটি কিনেছি। এ ব্যাপারে কাঠ ব্যবসায়ী মিল্টন মিয়া জানান,চেয়ারম্যানসহ তিনজন ইউপি সদস্যের কাছ থেকে মধ্যস্থতা করে ছায়েদের কাছে পাঁচ হাজার টাকায় গাছ দুটি বিক্রি করা হয়েছে। গাছ কাটার ব্যাপারে ইউপি সচিব সফিকুল ইসলাম বলেন,গাছ বিক্রির বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে আমি যতটুকু জানি ওই জায়গায় ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ওয়াশ ব্লক হওয়ার কথা। গাছ বিক্রির কথা অস্বীকার করে নাওডাঙ্গা ইউপির চেয়ারম্যান মো.হাছেন আলী বলেন,
পরিষদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ওই স্থানে ওয়াশ ব্লক নির্মাণের কথা রয়েছে। বিষয়টি মৌখিকভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করা আছে। কিন্তু কারা গাছ কেটেছে বা বিক্রি করে দিয়েছে,তা আমার জানা নেই।