রিপন কান্তি গুণ, বারহাট্টা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী উপজেলা দুর্গাপুরের কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জনপ্রিয় নেতা সুব্রত সাংমা(৪৭) হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো: শামীম মিয়া( ৩০) ওরফে (শুটার শামীম) আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।
বুধবার বিকালে নেত্রকোনা জজ আদালত যুগ্ম-১এ আত্মসমর্পণ করেন সুব্রত সাংমা হত্যা মামলার প্রধান আসামি শামীম মিয়া। পরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সুব্রত সাংমা হত্যার আসামি শামীম মিয়া দুর্গাপুরের কুল্লাগড়া ইউনিয়নের কাকড়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং উপজেলা বিএনপি’র সদস্যসচিব আবদুল আওয়ালের ছোট ভাই।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ দেয়া সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জেরে সীমান্তে অবৈধ ব্যবসায় বাধা দেওয়ায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কুল্লাগড়ার রাশিমনি বাজারে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল আওয়াল ও তাঁর ছোট ভাই মো. শামীম মিয়া ওরফে শুটার শামীমের নেতৃত্বে সুব্রত সাংমার ওপর দুই দফা হামলা চালানো হয়।
আহত অবস্থায় সুব্রত সাংমাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ অক্টোবর সুব্রত সাংমা মারা যান।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, হামলার ঘটনার পরদিন নিহত সুব্রত সাংমার বোন কেয়া সাংমা বাদী হয়ে থানায় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল আওয়াল ও তাঁর ভাই মো. শামীম মিয়া, হত্যার সহযোগী মো. বদিউজ্জামানসহ ১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
গত সোমবার রাতে চেয়ারম্যান আবদুল আওয়ালকে বাগেরহাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম জানান, ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে গত ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে খুন, মাদক, অস্ত্র, নাশকতা, সীমান্তে চোরাচালানিসহ শামীমের বিরুদ্ধে দুর্গাপুর থানায় অন্তত ১৪টি মামলা আছে। এলাকায় সে শুটার শামীম নামে পরিচিত।
ওসি আরো বলেন, সুব্রত সাংমা হত্যা মামলার পালাতক অন্য ১৩ আসামিকে গ্রেপ্তার অভিযান চলমান রয়েছে। আশাকরছি, খুব তাড়াতাড়ি তাদের গ্রেফতার করতে পারবো।