আশিকুর রহমান, স্টাফ রিপোর্টার :-
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হারুনুর রশিদ খান আর নেই। অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মেনে না ফেরার দেশে চলে গেলেন তিনি। সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (৩১মে) বিকেলে ঢাকার বেসরকারি হাসপাতালে মারা তিনি।
এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নিজ বাড়িতে বাজার ইজারাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীদের হাতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। দেশ-বিদেশে চিকিৎসা শেষে কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পর আবার অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বর্ষীয়ান এ নেতার মৃত্যুর বিষয়টি পরিবারের পক্ষ থেকে তার স্বজনার নিশ্চিত করেন। মৃত্যুর আগে তিনি গত ৩০ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর সাথে দেখা করেন। পরে তার অবস্হার অবনতি হলে গত ১৩ এপ্রিল উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে চলে যান। এরপর গত ২ মে দেশে ফিরে আসেন। আবার অবস্থার অবনতি হলে গত ৭ মে দ্রুত এভারকেয়ারে ভর্তি করানো হলে বর্ষীয়ান এ নেতাকে লাইফসাপোর্টে নেওয়া হয়। পরে ৩১ মে (বুধবার) বিকাল ৫টায় তার মৃত্যু হয়। আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান এ নেতার মৃত্যুর খবর তার এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভের পাশাপাশি ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ও ইটাখোলা-কটিয়াদী আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে মিছিল করে। এসময় বিক্ষোভকারীা বেশ কয়েকটি দোকানপাট এবং পুলিশের গাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে। এতে করে সড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে বিপাকে পড়েন পথযাত্রীরা। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পুরো শিবপুর জুড়ে অসংখ্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন রয়েছে বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নরসিংদী শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শিবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হারুনুর রশিদ খানকে গুলি করে হত্যা চেষ্টা করে দুর্বৃত্তরা। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ চেয়ারম্যানের ছেলে আমিনুর রশিদ খাঁন তাপস বাদী হয়ে ৬ জনকে আসামি করে থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১০ থেকে ১২ জন।