আরিফ বিল্লাহ জামিল বিশেষ প্রতিনিধিঃ
. নেত্রকোণা পৌরসভাধীন উত্তর সাতপাই নদীর পাড় এলাকা থেকে নিখোঁজ হয় ০৩ (তিন) বছর বয়সের শিশু সূরাইয়া আক্তার। নেত্রকোণা সাতপাই পিটিআই ভবনের সামনে হতে অজ্ঞাত এক মহিলার পিছু পিছু হেঁটে একটি অটো রিক্সায় উঠে যায় শিশু সূরাইয়া। দত্ত উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এসে, অটো রিক্সায় থেকে যাত্রী দুইজন নেমে পড়ে।
শিশুটি একাকী বসে আছে দেখে অটো রিক্সা চালক
শিশুটিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য মহিলা যাত্রীকে শিশুর মা মনে করে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। কিন্তু মহিলাসহ যাত্রী দুই জনের কেউই শিশুটিকে চিনেনা এবং নিতে রাজি হয় না বলে জানায়। অটো রিক্সা চালক শিশুটিকে নিয়ে যাত্রী দুইজনের সাথে তার তর্কাতর্কি হলে উক্ত ঘটনাটি দেখে পথচারী জনৈক আল মামুন অটো রিক্সা নিয়ে নেত্রকোণা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে স্থাপিত নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সহায়তা ডেস্কে চলে আসেন।
নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী সহায়তা ডেস্কের ইনচার্জ এসআই (নিঃ) রাজিয়া আক্তার চালক ও যাত্রীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে শিশু সূরাইয়াকে নিজ হেফাজতে নেন। শিশু সূরাইয়ার সাথে জিজ্ঞাসীত প্রশ্নের উত্তরে জানেন যে, তার নাম সূরাইয়া, পিতার নাম মুজিবুর, এলাকা উত্তর সাতপাই। ঘটনাটি পুলিশ সুপার মোঃ ফয়েজ আহমেদ এর অবগতি জানানোর পর ও তাৎক্ষণিক নির্দেশক্রমে বাচ্চাটির নাম ঠিকানা যাচাই-বাচাই এবং প্রকৃত অভিভাবকের অনুসন্ধানে নামে নারী শিশু ডেস্ক এর ইনচার্জ এসআই রাজিয়া আক্তার।
শিশু সূরাইয়াকে নিয়ে উত্তর সাতপাই এর উদ্দেশ্যে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ রওয়ানা হন। পথিমধ্যে পিটিআই ভবনের পিছনে পুকুরপাড় পর্যন্ত পৌছাইলে গাড়ীতে থাকা শিশু সূরাইয়াকে দেখে তার ভাই আব্দুল্লাহ সূরাইয়াকে তার বোন বলে দাবী করে। তারপর প্রকৃত অভিভাবক তার বাবা মোঃ মুজিবুর সাং-উত্তর সাতপাই, থানা-সদর, জেলা-নেত্রকোণা এর সন্ধান পাওয়া গেলে, শিশু সূরাইয়ার অভিভাবকের নাম ঠিকানা যাচাই পূর্বক শিশু সূরাইয়াকে তার বাবা মায়ের নিকট পুলিশ সুপার মহোদয়ের সাক্ষাতের মাধ্যমে শিশুটিকে হস্তান্তর করা হয়।