শরীয়তপুর থেকে আক্তার হোসেনঃ
শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর বাজারের উত্তর পাসে নদীর পাড় খেয়া ঘাটে একটি পাটের গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রায় ২,০০০/ মণ পাট পুড়ে গেছে যা বর্তমান বাজারে অর্ধকোটি টাকা । ( ১২ মে, রোজ শুক্রবার ) বিকাল সাড়ে ০৪ টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এরপরে মুহূর্তের মধ্যে আগুন গুদামের চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে।
ঘটনা স্থলে গিয়ে যানা যায়, মোঃ হাবিবুর রহমান সরদারের পাট গুদামের সাথে মোঃ সোহেল বয়াতি ( ৩৫ ) পিতাঃ মৃত নুরুল ইসলাম নুর বয়াতি, একটি দোকান মেরামতের জন্য, ওয়াকসাপ থেকে মিস্ত্রি এনে পাশের দোকান থেকে জোরপূর্বক বিদ্যুৎ সাইটলাইন টেনে দোকানের চালের লোহার এঙ্গেলের জালাইর কাজ করছিলো। সেই জালাই থেকে আগুনের বাবরি পাটের গুদামে পরলে সাথে সাথে আগুন লেগে যায়। আগুন লাগার সাথে সাথেই তারাহুরো করে মিস্ত্রিরা আগুন না নিবিয়ে দোকানের দরজা তালা লাগিয়ে চলে যায়। পরে স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় ছয় ঘন্টা পরে আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
পুুড়ে যাওয়া পাট গুদাম মালিক মোঃ হাবিবুর রহমান সরদাররে দাবি, আমার গুদামে প্রায় ২,০০০ মণ পাট ছিলো, এর সবই পুঁড়ে গেছে। এতে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এই আগুন পরিকল্পিত ভাবে লাগানো হয়েছে। পাশের দোকানদার ফরহাদ ছৈয়াল বলেন, আমার দোকান থেকে বিদ্যুৎ সাইট লাইন চাইলে আমি নিষেধ করি, কারন তারা জালাইর কাজ করবে পাশে গুদাম ঘর বর্তি পাট। কিন্তু তারা আমার নিষেধ মানে নাই, সোহেল বয়াতির লোকজন জোরপূর্বক ভাবে আমার দোকান থেকে কারেন্টের লাইন নিয়ে আজ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে।
কারন হিসেবে হাবিবুর রহমান সরদার, তিনি জানান, দীর্ঘ দিন যাবত সোহেল বয়াতির সাথে আমার জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে, আমার গুদাম বর্তি পাট দেখে আমার বড়ো ধরনের হ্ময়হ্মতি করার জন্য জোরপূর্বক ভাবে পাসের দোকান থেকে বিদ্যুতিক সাইট লাইন এনে আমার এই হ্মতি করেছে, আমি প্রশাসনের কাছে এর সঠিক বিচার চাই।
হাবিবুর রহমান সরদারের শসুর আব্দুল হাই মেলকার বলেন, আমি আমার এই দোকানটি পাট গুদাম হিসেবে আমার মেয়ের জামাইকে দেই, কিন্তু আজ সোহেল বয়াতি অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ লাইন নিয়ে, পূর্ব শুত্রুতার কারনে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে আগুন লাগিয়েছে।
নড়িয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত অফিসার রওশান জামীল বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে কীর্তি নাসা নদী থেকে দুটি পানির পাম্পের মাধ্যমে ছয় ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। আগুনের সূত্রপাত এখনো জানা যায়নি, তদন্ত কমিটি করে জানার চেষ্টা করবো।
নড়িয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক ( তদন্ত ) মোঃ আবীর হোসেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, অসাবধানতার কারণে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।