বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বের একটি অন্যতম জনপ্রিয় খেলা ফুটবল ।বাংলাদেশে ও ফুটবলের জনপ্রিয়তার কোন কমতি নেই। যার উদাহরণ দেখা মিলে বিশ্বকাপ এর সময় বিভিন্ন দেশ এর সমর্থনে দেশের ফুটবল প্রেমিদের উন্মাদনায়। বাংলাদেশের মানুষের আবেগ ও ভালোবাসার আরেক নাম ফুটবল। কিন্তু বাংলাদেশের ফুটবল তুলনামূলক ভাবে অনেক পিছিয়ে । র্যাকিং এ অবস্থান প্রায় দুইশত ছুঁই ছুঁই। নেই আহামরি কোন অর্জন। জয় পায় কালেভাদ্রে। এই যখন অবস্থা তখন দেশের ফুটবলে পাতানো ম্যাচের অভিযোগ অনেক পুরনো । এ যেন মরার উপর খাড়ার ঘা। গত মৌসুমে পাতানো খেলার অভিযোগ আসে বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর বিপিএলের দল আরামবাগ ক্রিয়া সংঘ ও প্রভাবশালী কিছু ক্লাবের বিরুদ্ধে। কিন্তু শাস্তি দেওয়া হয় শুধু আরামবাগ ক্রিয়া সংঘের ফুটবলার ও কর্মকর্তাদের। ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ এ দলটির বেশ কয়েকজন দেশি বিদেশি ফুটবলার ও কর্মকর্তা কে দেওয়া হয় বিভিন্ন মেয়াদের নিষেধাজ্ঞা। ছাড় পেয়ে যায় রাঘববোয়ালরা। এই মৌসুমে ও একই অভিযোগ আসে বিপিএলের ক্লাব উওর বারিধারা ও একটি প্রভাবশালী ক্লাবের বিরুদ্ধে এবং বিসিএল এর ক্লাব কারওয়ান বাজার ক্রিয়া সংঘ ও আজিমপুর ক্লাবের নাম ও উঠে আসে। কিন্তু শাস্তি দেওয়ার সময় দেখা গেল সেই একই নিয়ম। ছাড় পেল রাঘববোয়ালরা। উওর বারিধারা এবং কারওয়ান বাজার ক্রিয়া সংঘের কয়েকজন ফুটবলার এবং কর্মকর্তাকে দেওয়া হয় নিষেধাজ্ঞা। উভয় ক্লাবকে নামিয়ে দেওয়া হয় দ্বিতীয় বিভাগ এ দুই বছর এর জন্য এবং দশ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। বিসিএল এর ক্লাব আজিমপুর এর কোচ পাতানো ম্যাচ এর অভিযোগ এনে দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন। কিন্তু অলৌকিক ভাবে সেই আজিমপুর ক্লাব কে কোন শাস্তি দেওয়া হয়নি। বলা হলো তারা নির্দোষ। এবং বিপিএল ফুটবলে গত মৌসুমে আরামবাগ এবং এই মৌসুমে উওর বারিধারার সাথে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ যেই প্রভাবশালী ক্লাবগুলোর বিরুদ্ধে উঠেছে তাদেরকে ও আনা হয়নি শাস্তির আওতায়। উওর বারিধারা এবং আরামবাগ ক্রিয়া সংঘের কয়েকজন দেশি বিদেশি ফুটবলার এর সাথে কথা বলে জানা যায়, ম্যাচ পাতানোর সাথে জড়িত ক্লাবগুলোর কিছু কর্মকর্তা।তাদেরকে ছাড় দিয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ফুটবলারদের কথা আমলে না নিয়ে ইচ্ছা মত শাস্তি ঘোষণা করে। আর প্রভাবশালী ক্লাবগুলো থেকে যায় ধরা ছোয়ার বাইরে । শাস্তি পায় সাধারণ কিছু ফুটবলার। তারা এর সঠিক তদন্ত চান। তারা বলেন এগুলো পাতানো ম্যাচের পাতানো বিচার। দেশের ফুটবল প্রেমি মানুষ এর সঠিক তদন্ত এবং ন্যায্য বিচার চায়।
লেখকঃ মহাসিন শিকদার
মোল্লাহাট, বাগেরহাট