সানজিদ মাহমুদ সুজন,জেলা
প্রতিনিধি শরীয়তপুরঃ
গত ১১ অক্টোবর একটি জাতীয় পত্রিকার অনলাইন পোর্টালে ‘ভূমি জরিপ ও রেকর্ডভুক্ত করতে সরকারী ফি নেই এরপরও গুনতে হচ্ছে হাজার থেকে লক্ষাধিক টাকা’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ করেছেন জাজিরা উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসের সার্ভেয়ার আনিসুর রহমান ও কে এম রাইসুল ইসলাম।
এক প্রতিবাদ লিপিতে তারা বলেছেন, আমাদেরকে জড়িয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা সম্পূর্ণ ভুয়া, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমাদের সরেজমিনে সার্ভে জড়িপ চালানোর ক্ষেত্রে কোন ধরনের সরকারি ফি নেই। সুতরাং এক্ষেত্রে কোন ধরনের আর্থিক লেনদেনের সুযোগ নেই।
আমরা এই নিউজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, যে সকল অভিযোগের ওপর ভিত্তি করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণ জাল ও ভুয়া। উক্ত সার্ভে গুলো করার ক্ষেত্রে আমাদের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণের যে অভিযোগ করা হয়েছে সেই সকল জমি মালিকদের সঙ্গে কথা বললেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যেতো। এসকল জমি মালিকরা সার্ভে করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজ-পত্র প্রদানে ব্যার্থ হওয়ায় তাদের সার্ভে কাজ শেষ করতে আমাদের সমস্যা ও বেগ পেতে হয়েছিলো।
তাছাড়া প্রকাশিত নিউজের মধ্যে যে অভিযোগগুলো করা হয়েছে সে সম্পর্কে আমাদের দ্বারা কোন অনিয়ম বা ঘুষ গ্রহণের ঘটনা ঘটেনি। একটি পক্ষ নিজেরাই তাদের জমির যথাযথ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রদান করতে ব্যার্থ হওয়ায়, আমরা তাদের পক্ষে সার্ভে করতে অস্বীকৃতি জানালে তারা আমাদের বিরুদ্ধে ক্ষিপ্ত হয়ে কুৎসা ছড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে। এমনকি তাদের প্রয়োজনীয় যথাযথ কাগজ-পত্র না থাকা সত্বেও তাদের পক্ষে সার্ভে করার জন্য প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মাধ্যমে আমাদেরকে চাপ প্রয়োগ ও হুমকি প্রদান করে যাচ্ছিলো।
কাজ করতে গেলে একাধিক পক্ষের কাগজ আমাদের দেখতে হয় তখন অভিযোগ গুলো আমাদের শুনতে হয়,এতে করে সবাইকে আমরা সঠিকভাবেই তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে কাগজ করে দেই।যাদেরটা সঠিক কাগজ পত্র পাইনা তাদের কিভাবে সাহায্য করবো,তখনতো তারা আমাদের উপর বিরক্ত হবেই।
আমরা এমন সংবাদে খুবি বিব্রত ও সামাজিক, মানুষিক এবং দাফতরিক ভাবে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছি।এর আগে ও আমরা সুনামের সাথে বিভিন্ন স্থান হতে দায়িত্ব পালন করে এসেছি।
দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠান হিসেবে জাতীয় পত্রিকাটিকে বিষয়টি আরও গভীরভাবে অনুসন্ধান করে প্রকৃত সত্ব ঘটনা সবার সামনে তুলে ধরা উচিত ছিলো বলে, আমরা মনে করছি।
তাছাড়া অভিযোগকারীরা তাদের অভিযোগের বিষয়ে আমাদের সাথে কোন ধরনের কথা বলেননি। এছাড়া আমাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়ার একটি নিয়ম রয়েছে, কিন্তু কোন অভিযোগকারী জাজিরা সেটেলমেন্ট অফিসের উর্ধতন কর্তৃপক্ষ বরাবর কোন ধরনের লিখিত অভিযোগ করেননি। এমনকি মৌখিকভাবেও কেউ কোন অভিযোগ নিয়ে জাজিরা উপজেলা সেটেলমেন্ট অফিসে আসেননি।
আমাদের নামে উক্ত পত্রিকার অনলাইনে প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। কে বা কারা প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য এহেন কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে তা আমরা জানিনা। আমাদের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার জন্য এহেন ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে প্রকৃতপক্ষে তাদের অসৎ স্বার্থ চরিতার্থ করার লক্ষ্যে আমাদের নীতির সাথে দায়িত্ব পালনে বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছে বলেই আমাদের ধারণা। এ ছাড়া নিউজে অভিযোগকারী এবং তাদের অভিযোগের বিষয়টি অস্পষ্ট রয়েছে।
প্রতিবাদকারী জাজিরা সেটেলমেন্ট অফিসের সার্ভেয়ার আনিসুর রহমান ও কে এম রাইসুল ইসলাম বলেন, তারা সুপরিচিত ও স্বনামধন্য সার্ভেয়ার হিসেবে ন্যায়-নিষ্ঠা ও অত্যন্ত দায়ীত্বশীলতার সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। সুতরাং আমাদের বিরুদ্ধে আনিত এসকল অসত্য ও মিথ্যা সাজানো ঘটনাকে কোন দায়িত্ববান মানুষ সমর্থন করতে পারেন না বিদায় আমরা উল্লেখিত প্রতিবেদনটির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।