মোঃ মাসুদ ফারুক বাবলু বগুড়া বিশেষ প্রতিনিধি ঃ
বগুড়া জেলা শেরপুর উপজেলায় কুসুম্নী ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড উচুলবাড়ীয়া গ্রামের মোঃ ইদ্রিস আলীর ছোট ছেলে মোঃ জাকির তার ২ টি মাত্র কন্যা সন্তান ১ম সন্তানের বয়স ৪ বছর ২য় শিশু সন্তানের বয়স মাত্র ১৬ মাস এই পাষন্ড পিতা তার ২য় শিশু সন্তানকে গভীর রাতে হত্যা করে বলে জানা গেছে ।সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় রাত্রে খাওয়ার পরে ২ কন্যা সন্তান সহ স্ব পরিবার ঘুমিয়ে পড়লে হঠাৎ নিহত শিশুটির মা মোছাঃ রাবেয়া খাতুনের ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখে তার কোলের শিশুটি বিছানায় নেই তখন শিশুটির বাবাকে খোজ করে ডাক হাক করলে তাকেও পাওয়া যায়নি।অনেক সময় পরে বাবা ঘরে প্রবেশ করলে শিশুটির মা হত্যাকারী বাবা মোঃ জাকিরকে জিজ্ঞেস করে আমার ছোট মেয়ে হুমায়রা কোথায় তখন বাবা বলে দেখ পাশে আমার বাবা মায়ের ঘরে হয়তবা আছে। সেখানে তারা দুজনেই খোজাখুজির একপর্যায়ে না পেয়ে বাবা মোঃ জাকিরকে শিশুটির মা মোছাঃ রাবেয়া খাতুন পরিবার সহ এলাকার লোকজন বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করলে সে স্বীকার করে বলে আমি আমার হুমায়রাকে পুকুরপাড়ে রেখে এসেছি। এরপর এলাকাবাসী পুলিশের সহযোগীতায় আজ সকালে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে এবং পাষন্ড পিতা মোঃ জাকিরকে পুলিশ হেফাজতে দেন। শেরপুর থানা পুলিশ শিশুটির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেই সাথে হত্যাকারী পাষন্ড পিতা মোঃ জাকিরকে শেরপুর থানা পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন। শিশুটির মা মোছাঃ রাবেয়া খাতুন বলেন এই শিশু যখন আমার পেটে আসে তখন থেকেই আমার স্বামী শিশু সন্তান টিকে দুনিয়ার মুখ না দেখিয়ে নষ্ট করার পায়তারা করে আসছিল। পেটে থাকা অবস্থায় পরিপূর্ণ বয়স হওয়ার পূর্বেই আমাকে সিজার করানো হয়। বাচ্ছাটিকে ঠিকমত খাওয়াতে ও পারিনি বলে তিনি কান্নাকাটি শুরু করেন।