ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলায় শাহবন্দেগি ইউনিয়নের বাগমারা মৌজার সাউদিয়া পার্ক এলাকায় প্রায় দশ বিঘা ভিটে জমিতে সরকারি অনুমতি ছাড়াই অবৈধভাবে গভীর পুকুর খনন করে মাটি বিক্রি করে যাচ্ছে শেরুয়া বটতলা এলাকার কুখ্যাত মাটি খেকো ব্যাবসায়ী সেলিম মিয়া, এ যেনো দেখার কেউ নেই।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,সাউদিয়া পার্ক এলাকার মোঃ হামিদুল ইসলাম ভান্ডারীর পুকুর থেকে মাটি খেকো সেলিমের নেতৃত্বে এস্কেভেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে মাটি কেঁটে গভীর পুকুর খনন করে মাটি বিক্রি করে যাচ্ছে। মাটি বহন কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে ১০ -১২ টি ট্রাক্টর গাড়ি।মাটি বহনকারী গাড়িগুলো চলাচল করার কারণে নষ্ট হচ্ছে সরকারি কোটি টাকার রাস্তা,সেই সাথে লাইসেন্স বিহীন অদহ্ম্য ড্রাইভার দিয়ে গাড়ি পরিচালনা করায় রাস্তা ঘাটে প্রতি নিয়তো ঘটছে ছোট বড় অনেক ধরনের দূরঘটনা। আশেপাশের বসতবাড়ির ভিতরে ধুলো মাঠি গিয়ে বিভিন্ন রকমের রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছে অত্র এলাকার লোকজন।
সেই সাথে পরিবেশ দুষন সহ রাস্তার ধুলাবালিতে পথচারিদের বেড়েছে শ্বাসকষ্টের মত রোগ
বিষয়টি নিয়ে সেলিমের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি পএিকায় সংবাদ প্রকাশ হলেও এখনও এই মাটি খেকো সেলিমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।এর আগে বেশ কয়েক বার প্রশাসনকে অবগত করলেও ব্যবস্থা নিবো নিচ্ছি বলে শুধু আসস্থ করেই যাচ্ছেন দিনের পর দিন। আইনি কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।মাটি খেকো সেলিম এর দৌরাত্ম কতদূর তা এখনও অজানা বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় লোকজন জানান,গত কয়েকদিন যাবত রাত দিন ২৪ ঘন্টা সমান তালে চলছে এই অবৈধ মাটি উত্তোলনের কাজ। এতে রাস্তা ঘাটে চলাচলের চরম ভোগান্তি সৃষ্টি হচ্ছে।সেই সাথে নষ্ট হচ্ছে সরকারি কাঁচা পাকা রাস্তা গুলো।মাটি ব্যবসায়ী সেলিম শেরুয়া বটতলা এলাকার প্রভাবশালী লোক বলে কেউ কিছু বলার সাহস পাচ্ছেনা ।সংবাদ কর্মীদের মাধ্যমে এই কুখ্যাত মাটি খেকো সেলিম এর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান অত্র এলাকার লোকজন ।
সর্বশেষ ২৬/১১/২০২২ইং তারিখ শনিবার শেরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সানজিদা সুলতানার সাথে তার সরকারি নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন অবৈধ ভাবে মাটি উত্তোলন কারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি আশ্বাস দেন।