বটিয়াঘাটা প্রতিনিধিঃ
বটিয়াঘাটায় জলমা তহশীল অফিসের ঘূষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির আয়োজনে গতকাল রবিবার বিকেলে এক মানববন্ধন কর্মসূচি বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় । উল্লেখ্য জলমা তহশীল অফিস ও উপজেলা ভূমি অফিস দীর্ঘদিন যাবৎ দালাল দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে । বিগত সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ রাশেদুজ্জামান ভূমি অফিসের দালাল নির্মূল করতে অভিযান চালিয়ে জেল জরিমানা আদায় করলে ও তিনি অন্যত্র বদলি হলে আবারও দালালদের দৌরাত্ম মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে । একাধিক সূত্র জানিয়েছে, জলমা তহশীল অফিসের সহকারী তহশীলদার মোঃ তৌহিদুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে ১০ টাকার দাখিলা/ খাজনা ১০০০ টাকা এবং ১ হাজার টাকার দাখিলা ১ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে । কিন্তু দাখিলায় সরকারি রাজস্ব আদায় লেখায় মাত্র ১০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা । উল্লেখ্য জলমা তহশীলের সহকারী তহশীলদার তৌহিদের দাখিলা ঘুষ বাণিজ্য বাস্তবায়নের লক্ষ্যে তার নেতৃত্বে গড়ে তুলেছেন বিশাল দালাল সিন্ডিকেট । এছাড়া উপজেলা ভূমি অফিসেও চলছে ডিজিটাল স্টাইলে ঘুষ ও অনিয়ম । দালালদের কাজ ছাড়া সাধারণ মানুষের কোন কাজ হচ্ছে না । দালালদের মাধ্যমে জমির শতাংশ হিসেবে ঘুষের অর্থ পরিশোধ করতে হচ্ছে বলে একটা সূত্র জানিয়েছে । অপরদিকে জলমা তহশীল অফিসের ভূমিদাতা রমা কান্ত মল্লিক ভূমি দান করে মানবেতর জীবনযাপন করছে । ভূমি অফিসে গেলে তাকে তাচ্ছিল্যে চোখে দেখা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে । অন্যদিকে ঝাড়ুদার শান্তি লতা মল্লিক ও তার স্বামী সমর মল্লিক জলমা তহশীল অফিসের মটর চালিয়ে বিদ্যুতের অপচয় করে চলেছে । এছাড়া শান্তি ঝাড়ুদার হয়ে দালালদের স্বার্থ রক্ষার্থে সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট লালশালুর খতিয়ান বই চুরির ও ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ রয়েছে । এব্যাপারে জলমা তহশীল অফিসের তহশীলদার কৃষ্ণ পদ দাস বলেন,যদি কোন ভূক্তভোগীর সাথে অনিয়ম ও দুর্নীতি করে তাহলে উক্ত ভূক্তভোগী অবশ্যই আইনের আশ্রয় নিতে পারেন । তবে এধরনের কোন ঘটনার কথা আমার জানা নেই । এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার (ভূমি ) মোঃ মমিনুর রহমান বলেন, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে । অভিযোগটি তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে । এব্যাপারে ভূক্তভোগী এলাকাবাসী ভূমি অফিসের অনিয়ম বন্ধে সংশ্লিষ্ট উদ্ধতন কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ।