সোহেল রানা,কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে বিয়ের প্রলোভনে যুবতীকে একাধিকবার ধর্ষণ মামলার আসামি পাভেল ইসলাম (২৫) ১০দিন পাড় হলেও গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় এলাকায় অসন্তোষ বিরাজ করছে। পাশাপাশি নিরাপত্তহীনতা ও হতাশায় ভুগছেন ধর্ষণের শিকার ওই যুবতীর পরিবার। গত ১২ সেপ্টেম্বর ওই যুবতী বাদি হয়ে পাভেল ইসলামকে একমাত্র আসামি করে রাজারহাট থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। অভিযুক্ত আসামি পাভেল ইসলাম রাজারহাট উপজেলার চাকিরপশার ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রামের মোঃ রফিকুল ইসলামের ছেলে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়,দীর্ঘদিন যাবৎ আমাকে বিভিন্ন ভাবে বিয়ের প্রলোভন দেখাইয়া আসিতে থাকাবস্থায় ঘটনার দিন ও সময় অর্থাৎ গত ১১ সেপ্টেম্বর রবিবার আমাকে কৌশলে আমার বাড়ির পিছনে দেখা করিতে বলিলে আমি বিবাদীর কথায় সরল বিশ্বাসে আমার বাড়ির পিছনে মেহগনি গাছের বাগানে পৌঁছা মাত্রই বিবাদী পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার মুখ গামছা দিয়া বাধিয়া আমাকে জোর পূর্বক উক্ত স্থানে শোয়াইয়া আমার পড়নের পায়জামা টানা হেচড়া করিয়া খুলিয়া আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আমার যৌনাঙ্গে তাহার লিঙ্গ ঢুকাইয়া আমাকে ধর্ষণ করিতে থাকলে একপর্যায়ে আমার মুখের গামছা খুলিয়া গেলে আমি জীবন বাচার তাগিদে চিৎকার করিতে থাকিলে স্থানীয় লোকজন এসে উদ্ধার করেন। ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ,ঘটনার পর থেকে আসামি পাভেল পালাতক।বারবার বলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার না করার বিষয়টি রহস্যজনক। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় ঘটনাটি ধামাচাপার চেষ্টাসহ তাদের বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। এতে নিরাপত্তহীনতার পাশাপাশি চরম হতাশায় ভুগছেন বলেও দাবি তাদের। এ বিষয়ে রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রাজু সরকার জানান,মামলার পর ঔই যুবতীর ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই আসামি পাভেল পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারের জন্য আমরা সর্ব্বোচ্চ চেষ্টা করছি।