রাকিবুল ইসলাম তুরান
রিপোর্টার :ফরিদপুর।
ব্যাটারি চুরির অপবাদে বাবু শেখ (১৮)নামের এক যুবককে দুইদিন আটকে রেখে, নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ।
নিহত বাবু শেখের পিতার নাম মিজানুর শেখ। নিহত ব্যক্তি বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের খরসুতী গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায় নিহত বাবু ইটভাটা শ্রমিক।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে একই গ্রামের জসিম শেখের অটোভ্যানের ব্যাটারি চুরি যায়। তার অভিযোগ বাবু শেখ ওই ব্যাটারি চুরি করেছে। মঙ্গলবার ৮ আগস্ট বাবু ইটভাটা থেকে ছুটিতে বাড়ি যায়। তারপর কৌশলে জসিম শেখ বাবুকে ডেকে নিয়ে তার বাড়িতে আটকে রেখে অমানবিক নির্যাতন চালায়।
ভুক্তভোগীর পরিবার জসিম শেখের বাড়িতে গেলে জসিমের পিতা মাতা এবং জসিম ও তার ছোট ভাই জানায় ব্যাটারির টাকা অথবা ব্যাটারি না দিলে বাবুকে ছাড়বে না। ৯ আগস্ট বুধবার বিকালে মৃত বাবু শেখের বাড়ির লোক আবারো জসিম শেখের বাড়িতে যায়।
তখন দেখতে পায় বাবু শেখের নিথর দেহ জসীমদের বারান্দায় পড়ে আছে। জিজ্ঞাসা করলে বলা হয় বাবু গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
হত্যায় অভিযুক্তরা হলেন, খরসূতি গ্রামের মৃত পাচু শেখের ছেলে জাফর শেখ (৫০),ও তার ছেলে জসিম শেখ (২৫), মো. আব্বাস শেখ (২২)ও জাফর শেখের স্ত্রী শিল্পী বেগম (৪৬)। ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা পলাতক রয়েছে।
মৃত বাবু শেখের বড় ভাই সোহেল শেখ (৩২)বলেন, আমি বোয়ালমারী মাছ বাজার সংলগ্ন মার্কেটে চা এর দোকান করি। মঙ্গলবার ৮আগস্ট বিকালে জানতে পারি, আমার ছোট ভাই বাবু বাড়িতে গেলে, তাকে জাফর শেখের ছেলে জসিম শেখ ব্যাটারি চুরির অপবাদে আটকে রেখেছে। এমনকি আমার পরিবারের লোকজন জসিমের বাড়িতে গেলে তাদের সামনেও বাবুর উপর নির্যাতন চালিয়েছে। আমি মঙ্গলবার জাফর শেখের বাড়িতে গিয়েছিলাম ছোট ভাই বাবুকে আনতে। জাফর শেখ তার দুই ছেলে ও জসিমের মা জানায় ব্যাটারি অথবা টাকা না দিলে বাবুকে ছাড়বেনা। ৯ আগস্ট সন্ধ্যায় খবর পাই আমার বাড়ির লোকজন জসিমের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পায় বারান্দায় বাবুর মৃতদেহ পড়ে আছে। জাফর শেখের পরিবার জানায়, বাবু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
বোয়ালমারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মাদ আব্দুল ওহাব জানায়, আমরা খবর পেয়ে জাফর শেখের বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করেছি। লাশ ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।