গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যমান ফার্মেসীগুলোর নেই ড্রাগ লাইসেন্স, নেই কোন সার্টিফিকেটধারী ফার্মাসিস্ট। সেইসাথে পুরো উপজেলার কোথাও কোন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ফার্মেসী নেই। যদিও বাংলাদেশ ফামেসী অধ্যাদেশ, ১৯৭৬ এ ঔষধ সংরক্ষণের জন্য শীতাতপ নিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থা না থাকলে জরিমানা করার বিধান রয়েছে।
সরেজমীনে কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অলিগলিতে ব্যাংঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে অসংখ্য ফার্মেসী।
কালিয়াকৈর উপজেলার প্রাণকেন্দ্র কলেজ রোডে গড়ে উঠেছে অবৈধ ফার্মেসীর হাট। উল্লেখ্য যে, কালিয়াকৈর কলেজ রোডের খোকন ড্রাগ হাউজ, সূর্য ফার্মেসী, কাকলী ফার্মেসীসহ আরও কয়েকটি ফার্মেসীকে ভেজাল, নকল ও মেয়াদ উত্তীর্ন ঔষধ রাখার দায়ে ভ্রাম্যমান আদালত বারবার আর্থিক জরিমানা করলেও আজও তারা বহালতবিয়তে ভেজাল ও নকল ঔষধ বিক্রি করছে। গাজীপুর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আহসান হাবীব এর সাথে ড্রাগ লাইন্সেস ও ঔষধ সংরক্ষন নীতিমালার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, গাজীপুর মহানগরের অধিকাংশ ফার্মেসীর ড্রাগ লাইসেন্স আছে কিন্তু জেলার বিভিন্ন উপজেলায় থাকা ফার্মেসীগুলোর অধিকাংশের নেই ড্রাগ লাইসেন্স। প্রশিক্ষিত ফার্মাসিষ্ট না থাকায় তাদের লাইসেন্স দেয়া হচ্ছেনা। আর ঔষধ সংরক্ষনের জন্য নীতিমালায় যা আছে তা বাস্তবায়ন করা যাচ্ছেনা। সেইসাথে বাংলাদেশ ফামেসী অধ্যাদেশ, ১৯৭৬ এর বিভিন্ন ধারা সংশোধনের বিষয়ে আলোচনা চলছে।
এই বিষয়ে কালিয়াকৈর ঔষধ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুশান্ত কুমার সাহা’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার সমিতির সদস্যদের বারবার তাগিদ দেওয়ার পরও কেউই তাদের ফার্মেসীতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রনের ব্যবস্থা করেননি। সেক্ষেত্রে আমার কিছু করার নেই। উক্ত সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মহসিন উজ্জমান দুর্জয় জানান, আমরা সমিতির সকল সদস্যদের সতর্ক করেছি। তারপরও যদি কারো ফার্মেসীতে ভেজাল, নকল ও মেয়াদ উত্তীর্ন ঔষধ পাওয়া যায় তবে তার দায়ভার আমাদের সমিতি গ্রহন করবেনা।