মোঃফেরদৌস, মঠবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ
শফিকুলের ওপর পৈশাচিক হামলার ঘটনায় মঠবাড়িয়া উপজেলা জাতীয় পার্টির উদ্যোগে ২ অক্টোবর রোববার বেলা ১১টায় শহীদ মিনার সম্মুখ সড়কে ঘন্টা ব্যাপী প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জাতীয় পার্টি নেতা ফজলুল হকের সঞ্চালনায় জাতীয় পার্টির সভাপতি নুরুজ্জামান লিটনের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম টুকু, প্রফেসর ফারুক হোসেন, মোতালেব হোসেন, যুবসংহতির সভাপতি মিজানুর রহমান দুলাল, তুষখালী ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি হিরু শরীফ, রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আঃ রহমান আল নোমান, শফিকুলের বাবা আইয়ুব আলী প্রমূখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, তুষাখালী ইউনিয়নের জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলামের ওপর অমানবিক হামলাকারী সন্ত্রাসীদের অতিদ্রæত গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির দাবী জানিয়ে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীকে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বক্তব্য প্রদান করেন। এর অন্যথা হলে মঠবাড়িয়া সহ সারাদেশের জাতীয় পার্টির নেতা কর্মীদের নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে শফীকুল তুষাখালী থেকে মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলার হাজিরা দিতে আসলে উত্তর মিঠাখালী ফরাজী বাড়ির সামনে সদর রোডে শফিকুলের মোটর সাইকেল রোধকরে ৮/১০ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রæপ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে শরীরে বিভিন্ন স্থানে এলো পাথারি কুপিয়ে জখম করে। এতে তার বাম পায়ের গোড়ালী বিচ্ছিন্ন সহ পেটের নাড়ীভুড়ি বেড়িয়ে যায়। স্থানীয়রা তাকে আশঙ্কা জনক অবস্থায় মঠবাড়িয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সেবাচীম হাসপাতালে প্রেরণ করলে তার অবস্থার আরো অবনতি হলে চিকিসকরা তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বর্তমানে শফিকুল ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় শফিকুলের মা মমতাজ বাদী হয়ে স্থানীয় থানায় নাসির হাওলাদার কে প্রধান আসামী করে ১০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের কারেন। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত নাসির হাওলাদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকীরা পলাতক রয়েছে। আহত শফিকুলকে কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এম,পি, স্থানীয় সংসদ সদস্য ডাঃ রুস্তুম আলী ফরাজী ও রুহুল আমীন হাওলাদার সহ বিভিন্ন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা তার খোঁজ খবর নিয়েছেন এবং দোশীদের অতিদ্রæত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার আশ^াস দিয়েছেন।