মোঃ শহিদুল ইসলাম খান সিরাজগঞ্জঃ
পবিত্র কুরআনুল কারীমের পরিসংখ্যান মোট
পারা ৩০ টি মোট সূরা ১১৪ টি মাক্কি সূরার সংখ্যা ৮৬টি মাদানী সূরার সংখ্যা২৮টি মোট রুকু ৫৫৮টি মোট আয়াত সংখ্যা ৬২৩৬ টি মোট মনযিল ৭টি কালিমা ৭৭,৪৩৬ টি মোট হরফ ৩ ,৩৩ ,৮৬০ টি সিজদাহর সংখ্যা ১৪ টি মতবিরোধসহ সিজদাহ ১৫ টি আলিফ জায়েদা ৮৮ টি মুআনাকা ১৮ টি মু আ ১৬ টি ইমালাহ ১টি ইশমাম ১টি তাসহীল ১টি সিকতা ৪টি ওয়াকফে লাযেম ৮৭ টি ওয়াকূফূননবী (স) ১৫টি ওয়াকফে মনযিল ১১ টি ওয়াকুফে জিব্রাইল ১টি ওয়াকফে গোফরান ৯টি অতিরিক্ত আলিফ ৮৮টি মদ ১৭৭১ টি বিসমিল্লাহর বর্ণ (সমগ্র কোরানে) ২৩৭৩টি
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র সুরা ফাতেহা দিয়ে কোরানুল কারীম শুরু করেছেন এবং সূরা নাছ দিয়ে কুরআনুল কারীম সমাপ্তি করেছেন কোরানুল কারিম তেলাওয়াতের অনেক নিয়ম কানুন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কুরআনের প্রথম দিকে ঘোষণা করে দিয়েছেন ।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেন আমি পৃথিবীতে মহাপবিত্র কুরআনুল কারীম নাযিল করেছি আমি নিজেই এর সংরক্ষণ করব । এই কোরানুল কারীম দিয়ে পৃথিবীর সমস্ত সমস্যা সমাধান করা সম্ভব। মানুষের জন্ম থেকে শুরু করে, মৃত্যু পর্যন্ত যত ধরনের সমস্যা আছে ,যেমন, বিবাহ বিচ্ছেদ , রাজনৈতিক ,অর্থনৈতিক, পরিবারের জমি জমা বন্টন, হালাল হারাম ,ফরজ, ওয়াজিব, মুস্তাহাব ,সুন্নাত ,নফল ,
সুদ খাওয়ার পরিনাম ,ঘুষ খাওয়ার পরিণাম, অন্যের জমি জোর করে দখল করার পরিণাম, চাঁদাবাজি করার পরিনাম, অন্যায় বিচার করার পরিনাম ,ইয়াতিমের হক মেরে খাওয়ার পরিণাম, অন্যায় ভাবে মানুষকে হত্যা করার পরিনাম , শিরক বিদআত কুফরি ইত্যাদি পৃথিবীর যাবতীয় জিনিস সম্বন্ধে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কোরআনুল কারীমে পুঙ্খানু পুঙ্খানু গ্রুপে তরজমার মাধ্যমে করেছেন।
শুধু তাই নয় ,আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আরো বলেছেন কুরআন এবং হাদিস মুসলিমগণ সংরক্ষণ করলে মুসলমানগন কখনোই পথভ্রষ্ট হবে না ।
যুগে যুগে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নবী রাসুলগণ প্রেরণ করেছিলেন ,এই পৃথিবীতে তাহারা তাদের জীবদ্দশায় যে সমস্ত নেক কাজ করেছেন সেগুলাই লিখে হাদিস আকারে পৃথিবীতে রেখে গিয়েছেন সমস্ত নবী রাসূলগণ , মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সমস্ত নবী রাসূলগণদের জীবদ্দশার সকল হাদিসের ব্যাপারেও পবিত্র কুরআনুল কারীমে ঘোষনা করেছেন।।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মহা পবিত্র কুরআনুল কারিমে ঘোষণা করেছেন প্রত্যেকটি নর-নারী মুমিন মুসলমানের উপর পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে, রমজান মাসে সকল মমিন মুসলমান ফরজ রোজা রাখবে, সামর্থ্য হলে হজ্ব পালন করবে , যাকাত দিবে ,এবং সর্ব অবস্থায় সকল মুসলমানদেরকে কালেমার দাওয়াত দিবে ।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রত্যেকটি মমিন মুসলমানদেরকে অর্থ বুঝে তরজমা সহ কুরআনুল কারীম পড়ার তাগিদ দিয়েছেন ,যদি সকল মুমিন মুসলমান অর্থসহ তরজমা সহকারে কুরআনুল কারীম পাঠ করেন, তাহলে পৃথিবীর যেকোনো সমস্যার জন্য কারো কাছেই যেতে হবে না শুধু দুই থেকে তিনজন সাক্ষী রেখে সকল সমস্যার সমাধান করতে সমর্থন হবে ।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেন আমি পবিত্র কুরআনুল কারীম কে বিশ্ব মুসলিমের জন্য কোড অফ লাইফ বা পূর্ণাঙ্গ জীবনবিধান হিসেবে পৃথিবীতে নাযিল করেছি ।
