আরিয়ান খান ইভান
মির্জাপুর(টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইল মির্জাপুর উপজেলার বাঁশতৈল ইউনিয়নের পেঁকুয়া গ্রামে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) রাত ১০ টার দিকে দাদি খোঁজতে গিয়ে দেখে নাতির লাশ বাড়ির পাশে একটি আমগাছে ঝুলে আছে।নিহত কিশোর ওই এলাকার মো. নুরুল ইসলামের ছেলে মো. সাব্বির রহমান (১৫)।নাতির লাশ দেখে ডাকচিৎকার করিলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে এবং পুলিশকে খবর দেয়।
পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রাত ১১:৩০ মিনিটে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।
সাব্বিরের দাদি জরুনা বেগম ও স্থানীয়রা জানান,সাব্বিরের বাবা আফ্রিকা প্রবাসী। সে বাড়ির কোন খোঁজখবর নিত না।সাব্বিরের বয়স যখন ৩ বছর তখন সাব্বিরের মা অন্যত্র চলে যায়। পরে সে তার দাদির কাছেই বড় হয়।সাব্বিরের কোন ভাই-বোন নাই।তারা আরো জানান,সাব্বির গত ৩-৪ বছর ধরে নেশার সাথে জড়িত ছিল।প্রায়ই নেশা করে বাড়িতে আসত এবং তার দাদিকে বকাঝকা ও মারধর করত।সাব্বির মাদকের ব্যাবসাও করত বলে তারা জানান।তার দাদি বলেন,আমার কাছে মাঝে মধ্যেই টাকা খোঁজত, না দিলেই রাগ করত,বকাঝকা করত ও মারধরও করত।
সাব্বিরের দাদি আরো জানান,সাব্বির গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়িতে আসে।খাবার খায়।পরে আমার কাছে টাকা চায়। টাকা না দিলে আমাকে মারধর করে এবং গলা টিপে ধরে।আমি ডাকচিৎকার করিলে আশেপাশের লোকজন আসে। পরে ও চলে যায়। রাত ৯-১০ টা বেজে গেলে সাব্বির বাড়িতে আসে না।পরে আমি অনেক খোঁজাখুঁজি করে দেখি বাড়ির উত্তর পাশে একটি আমগাছে দড়িতে ঝুলে আছে। পরে আমি ডাকচিৎকার করিলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে।
সাব্বির কাদের সঙ্গে নেশা করত এমন প্রশ্নের জবাবে তার দাদি কোন উত্তর দেয় নি।তবে সে বলেন,সাব্বিরের মোবাইল জনি নামের এক ছেলের কাছে বন্ধক রেখেছে।জনির বাসা কাইতলা বাসস্ট্যান্ডের সাথেই উত্তর পাশে। তারা পরিবার সহ তার নানার বাসায় থাকেন।জনির নানা মো. ওয়ারেছ। সে কাইতলা বাসস্ট্যান্ডেই একটি দোকান করে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয়রা জানান,সাব্বিরের সাথে এই এলাকায় আরো অনেকেই নেশার সাথে জড়িত আছে। তাদের ভয়ে কেউ কোন কথা বলে না।এলাকা থেকে নেশা নির্মূলের জন্য স্থানীয়রা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছে।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।আইনী প্রক্রিয়া শেষে তার লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।