মির্জাপুর(টাঙ্গাইল) প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইল মির্জাপুর উপজেলায় গোড়াই ইউনিয়নের নাজিরপাড়া এলাকার সিদ্দীক হোসেন(৫২) এর ছেলে জাহিদ হাসান(২৪) এর নামে এক তরুণীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়,মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই নাজিরপাড়া এলাকার আলাল সিদ্দীকের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন তরুণী।অভিযুক্ত জাহিদ হাসান একই এলাকার সুবাদে ঐ তরুণীর সাথে পরিচয় হয়।তরুণী নাহিদ কটন মিলস লিঃ এ চাকরি করে।সেইসুবাদে বাসা থেকে আসা যাওয়ার পথে তরুণীকে নানান রকম কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিল।কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় জাহিদ হাসান ক্ষিপ্ত হয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টাসহ নানান রকম ক্ষতি করার চেষ্টা চালিয়ে যেতে থাকে।
এমতাবস্থায় ঘটনার দিন গত ৫ অক্টোবর তরুণী খাবার খেয়ে নিজ কক্ষে রাত ৯:৩০ মিনিটে ঘুমিয়ে যায়।রাত আনুমানিক ১২:৩০ মিনিটের দিকে টয়লেটে গেলে ঘরের দরজা খোলা থাকার সুযোগে জাহিদ হাসান পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘরে ঢুকে খাটের নিচে লুকিয়ে থাকে।এদিকে তরুণী যথারীতি দরজা লাগিয়ে শুয়ে পড়লে কিছুক্ষণ পর অভিযুক্ত জাহিদ হাসান খাটের নিচ থেকে বের হয়ে তরুণীকে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের চেষ্টা করে।এতে তরুণী বাধাঁ দিলে তরুণীতে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ঘর থেকে চলে যায় জাহিদ হাসান।
ঘটনাটি তরুনী তার পিতামাতা ও বাড়ির মালিককে জানালে তারা অভিযুক্ত জাহিদকে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে অনুরোধ করেন।এতে জাহিদের বাবা সিদ্দীক হোসেন এবং জাহিদের বড়বোন শারমীন আক্তার(২৬) জাহিদের কুকর্মকে পশ্রয় দিয়ে বিবাহ না করার পরামর্শ দেয় এবং তরুণীর পক্ষ হতে যাওয়া লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
বিষয়টি মিমাংসা না হবার কারণে তরুণী তার বাবাকে নিয়ে মির্জাপুর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা না নেবার কারণে টাঙ্গাইল কোর্টে মামলা দায়ের করা হয়।
অভিযুক্ত জাহিদ হাসানের সাথে কথা বললে এ তিনি বলেন,মেয়েটির সাথে তার ৫ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিলো।তবে এখন তেমন কোনো যোগাযোগ নেই।বর্তমানে মেয়েটিকে বিয়ে না করার কারণে ধর্ষণের দোষ দিচ্ছে তবে আমি তাকে ধর্ষণ করিনি।ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে অনেকের কাছে গেছে তবে সেগুলো সবই মিথ্যা।স্থানীয় মেম্বার আদিল তিনি সবই জানেন,তিনি বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করেন।
তরুনী বলেন,৫ বছর প্রেমের সম্পর্ক ছিলো এটি সত্য। জাহিদ হাসান বিয়ের কথা বলে কাগজে সাইন করিয়ে মিথ্যা নাটক সাজিয়েছিল তখন বুঝতে পারিনি।এরমধ্যে তার সাথে তেমন যোগাযোগ ছিলনা তবে চাকরির স্থলে যাবার পথে বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দিয়ে আসতো বরাবরই,তাতে সম্মতি না দিলে জবরদস্তি করতো ও বিভিন্ন ভয় দেখাতো।সর্বশেষ ৫ অক্টোবর আমাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে জাহিদ হাসান।
এ বিষয়ে আদিল মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,বিগত ৩ মাস আগে মেয়েটি আমার কাছে আসছিল।মেয়েটির দাবি ঐ ছেলে তাকে বিয়ের বিষয়ে প্রতারণা করেছে।বিষয়টি সত্যমিথ্যা যাচাই করতে প্রমাণ দেখাতে বলি,তবে কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি।
এরপর ৫ অক্টোবর ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই।
তরুণী আরও বলেন,ছেলের বাড়ির লোকজন প্রভাবশালী হওয়াতে কোনো বিচার পাচ্ছিনা।এমনকি ছেলের বোন বলে ‘তুই যতই মামলা করছ, বিচার দিস কোনো লাভ হবেনা,তরে এই বাড়িতে আমার ভাইয়ের বৌ হিসেবে কোনদিন আনবোনা’।
এমনকি নানানভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছি প্রভাবশালী মহলের।