মির্জাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অপরাধে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলামকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।এমন সিদ্ধান্তই নিয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগ। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত একটি লিখিত নোটিশের মাধ্যমে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
গত শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বিকালে পুলিশ পাহাড়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত হয় বলে দলের উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ জানিয়েছেন।
সভায় মীর শরীফ মাহমুদের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল-৭ মির্জাপুর আসনের সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মোজাহিদুল ইসলাম মনির, যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সৈয়দ ওয়াহিদ ইকবাল, মাজাহারুল ইসলাম শিপলু, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুর রহমান আকন্দ, শামীম আল মামুন, দপ্তর সম্পাদক জহিরুল ইসলাম জহিরসহ ৭১ সদস্যবিশিষ্ট উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির ৫৫ জন সদস্য।
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর বিকালে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে টাঙ্গাইল জেলা আ.লীগের সম্মেলন উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় কমপ্লেক্সের বাইরে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মীর এনায়েত হোসেন মন্টুকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম। জেলা পরিষদ নির্বাচনে তার বিপক্ষে কাজ করার অভিযোগে উপজেলা চেয়ারম্যানকে লাঞ্ছিত করেন সিরাজুল ইসলাম।পরে উপজেলা চেয়ারম্যানের অনুসারী সহ সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
উপজেলা চেয়ারম্যানকে লাঞ্ছিত করার বিষয়ে উপস্থিত অধিকাংশ সদস্যই সিরাজুল ইসলামকে স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানান। পরে উক্ত সভায় সর্বসম্মতিক্রমে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলামকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
উল্লেখ্য,সিরাজুল ইসলামকে বহিষ্কার কার্যকর শুরু হয় মঙ্গলবার( ৮ নভেম্বর ২০২২ ইং ) হতে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মীর শরীফ মাহমুদ বলেন,আওয়ামীলীগ একটি বৃহৎ সংগঠন। এখানে অপরাধের কোন সুযোগ নেই। তাই সিরাজুল ইসলাম যে কাজটি করেছে তা সাংগঠনিক বহির্ভূত। তাই আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগ সিদ্ধান্ত নিয়েছি তাকে বহিষ্কার করার এবং তাকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত জানিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি ও জেলা আওয়ামী লীগ বরাবর চিঠি পাঠিয়ে সুপারিশ করেছি।