ইন্জিনিয়ার আসাদ মানিক , বিশেষ প্রতিনিধি ব্যাবস্হাপনা সম্পাদকঃ
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় প্রতিমা বিসর্জন ঘাটের পাশের হাসিল ঘরের উত্তর পাশে ছুরিকাঘাতে নিহত কাউন্সিলরপুত্র সরোয়ার রহমান শান্ত হত্যাকান্ডে জড়িতদের মুক্তাগাছা থানা পুলিশ আটক করে।দুই শিশু হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
স্কুল শিক্ষার্থী কাউন্সিলপুত্র শান্ত হত্যা ঘটনায় গত ৭ অক্টোবর মুক্তাগাছা থানায় একটি হত্যা মামলা হয় এবং মামলার তদন্তের দায়িত্বভার পান মুক্তাগাছা থানা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ রুবেল মিয়া। হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে মুক্তাগাছা থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গত ১০ অক্টোবর (সোমবার) মুক্তাগাছা এলাকা থেকে দুই জন উপজেলার কান্দিগাঁও এলাকার মো.বাবর আলীর ছেলে মো. তারিকুল ইসলাম লিমন (১৭) ও সাইদুল ইসলাম রাজার ছেলে মো.রবিউল হাসান শুভ (১৭) কে আটক করে পুলিশ। আটককৃদের মঙ্গলবার ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো.তাজুল ইসলাম সোহাগ ও ইকবাল হোসেনের আদালতে পাঠানো হলে,তারা শান্ত হত্যার পরিকল্পনা ও হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুল হাসান জানান,পুলিশ সুপার ময়মনসিংহ এর দিক নির্দেশনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল এর সার্বিক সহযোগিতা মুক্তাগাছা থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম আসামিদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় এবং ঘটনাটি উদঘাটন করেন। নিহত সারোয়ার রহমান শান্তর সাথে হত্যাকারীরা এক সাথেই খেলাধুলা করতো। হত্যার আগে নিহত শান্তর সাথে আসামীদের মাদক সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয়। সেই জেরে লিমন,শুভ ও পালাতক আরো দুই আসামি শান্তকে হত্যা করার জন্য গত ৫ অক্টোবর নতুন বাজার বিসর্জন ঘাটে রাত সাড়ে আটার দিকে লোকচক্ষুর আড়ালে ধারালো ছুরি দিয়ে সারোয়ার রহমান শান্ত কে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় তারা। এ ঘটনায় লিমন ও শুভ আদালতের কাছে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। হত্যা কান্ডে জড়িত পলাতক আসামীদেরকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৫ অক্টোবর (বুধবার) রাত সাড়ে আটটার দিকে মুক্তাগাছার পাইকা শিমুল নতুন বাজার গরুর হাট প্রতিমা বিসর্জন ঘাটে শারদীয় দূর্গা পূজার সাংস্কৃতি অনুষ্ঠান চলাকালে কাউন্সিলর মোঃ মতিউর রহমান মতির ছেলে মো.সারোয়ার রহমান শান্ত ছুরিকাঘাতে খুন হয়।