সোমবার , ১ মে ২০২৩ | ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অভিযান
  3. অভিযোগ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন-আদালত
  6. আগুন দুর্ঘটনা
  7. আটক
  8. আত্মহত্যা
  9. আন্তর্জাতিক
  10. আরো
  11. আলোচনা সভা
  12. ইসলামিক
  13. উদ্ধার
  14. কবিতা
  15. কমিটি গঠন

মে দিবসে বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা জানান -ময়না চেয়ারম্যান

প্রতিবেদক
ঢাকার টাইম
মে ১, ২০২৩ ৭:০২ পূর্বাহ্ণ

সুজন তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ

১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস(মহান মে দিবস) উপলক্ষে বিশ্বের সব শ্রমজীবী মেহনতি মানুষকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন তানোর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সংগ্রামী সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান লুৎফর হায়দার রশিদ ময়না।ময়না চেয়ারম্যান বলেন,আগামীকাল ১ মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস।বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন মহান মে দিবস।১৮৮৬ সালের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের হে মার্কেটের শ্রমিকরা দৈনিক ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন।ওই আন্দোলনে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন কয়েকজন বিপ্লবী শ্রমিক।এই দিনটির স্মরণে বিশ্বের দেশে দেশে পালিত হয়ে আসছে মহান মে দিবস।মে দিবস হয়ে ওঠে বিশ্বের সব শ্রমজীবী মেহনতিমানুষের অধিকার আদায়ের চিরঞ্জীব অনুপ্রেরণার দিন।এই দিন টিকে স্মরণে রেখে মহান মে দিবস উপলক্ষে আমার পক্ষ থেকে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব শ্রমজীবী মেহনতি মানুষকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।তিনি আরও বলেন১৯৪৯ সালের ২৩ জুন লাঞ্ছিত-নিপীড়িত শোষিত-বঞ্চিত-অবহেলিত গরীব-দুঃখী মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের দৃঢ় সংকল্পে বাঙালি জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল আদর্শের আনুসারী নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে গঠিত হয় আওয়ামী লীগ।জন্মলগ্ন থেকেই আওয়ামী লীগ এদেশের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের সংগ্রাম চালিয়ে আসছে।স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শোষিত-বঞ্চিত নির্যাতিত-নিপীড়িত মেহনতী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু যেমন ছিলেন বৈষম্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার,তেমনি তিনি‘দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর’জন্য ছিলেন নিবেদিত প্রাণ।বঙ্গবন্ধুর অবিসংবাদিত নেতৃত্বে আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে এদেশের শ্রমজীবী মানুষ গৌরবোজ্জ্বল বীরত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। স্বাধীনতা লাভের পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে মে দিবস পালন শুরু হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের প্রতি সম্মান জানিয়ে ১ মে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন।বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছিল।বঙ্গবন্ধু পরিত্যক্ত কল-কারখানা জাতীয় করণ করে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন।ফলে সে সময় হাজার হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়।জাতির পিতা দীপ্ত কণ্ঠে উচ্চারণ করেছিলেন‘বিশ্ব আজ দু’ভাগে বিভক্ত।একদিকে শোষক,অন্যদিকে শোষিত। আমি শোষিতের পক্ষে’।তিনি আরও বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা যখনই রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন তখন শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে গ্রহণ করেছেন বহুমাত্রিক উদ্যোগ।ব্যাপক শিল্পায়নের মধ্য দিয়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টি,শ্রমিকদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধি,গণতান্ত্রিক শ্রমনীতি প্রণয়ন,শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় নামে দুটি স্বতন্ত্র মন্ত্রণালয় সৃষ্টি,প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ও কর্মংসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে শ্রমজীবী মানুষদের সহায়তা প্রদান,ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গড়ে তোলার সুযোগ সম্প্রারিত করাসহ শ্রমজীবী মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে অসংখ্য কল্যাণকর উদ্যোগ বাস্তবায়িত করেছেন আওয়ামী লীগ সরকার তিনি আরও বলেন ,আওয়ামী লীগ সরকার শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের দেশের উন্নয়নের প্রধান চালিকা শক্তি।শ্রমজীবী মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণেই বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে।বাংলাদেশ উন্নীত হয়েছে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে।আর তাদের নিরবচ্ছিন্ন পরিশ্রমের মধ্যেই নিহিত রয়েছে দেশের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ।মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাঙালির সব প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক আন্দোলন-সংগ্রাম এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের মহিমান্বিত আত্মত্যাগের ইতিহাস প্রজান্ম থেকে প্রজন্মান্তরে অনুপ্রেরণার চিরন্তন আলোকবর্তিকা হয়ে থাকবে।

সর্বশেষ - সারা দেশ

%d bloggers like this:

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট