নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌরশহরের দৌলতপুর এলাকা থেকে অটো রিকশা চোর চক্রের তিন সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ (১৭ জুলাই) সোমবার সকালে আটককৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এরআগে রবিবার দুপুরে পৌরশহরের দৌলতপুর এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকৃতরা হলেন- উপজেলার দেওথান গ্রামের ফেরদৌস মিয়ার ছেলে সজিব মিয়া (১৯), বড়কাশিয়া গ্রামের মর মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মুরাদ মিয়া (২৭) ও সুয়াইর গ্রামের লুৎফুর রহমানের ছেলে আপন চৌধুরী (২২)।
চোর চক্রের ৩ সদস্যকে আটক করা হলেও এ চক্রের মূল হোতা মাহীদ অটো এন্টারপ্রাইজের মালিক বার্ত্তাকোনা গ্রামের ফজল হকের ছেলে আ. রব (৩২) পলাতক রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বড়কাশিয়া গ্রামের চান্দু মিয়ার ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাটি চুরি হয়ে যায়। খুঁজতে গিয়ে রবিবার সকালে মোহনগঞ্জ পৌরশহরের খাদ্য গুদামের পূর্বদিকে সেতুর কাছে অবস্থিত মাহীদ অটো এন্টারপ্রাইজের সামনে ব্যাটারি বিহীন অটোরিক্সাটি দেখতে পান চান্দু। পরে তিনি থানায় গিয়ে বিষয়টি পুলিশকে জানান।
পুলিশ খাদ্য গুদামের পূর্বদিকে সেতুর কাছে অবস্থিত মাহীদ অটো এন্টারপ্রাইজের গিয়ে ভেতরে তল্লাশি চালিয়ে এক কোণে মিশুকের চারটি ব্যাটারি পায়। পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে মাহীদ অটো এন্টারপ্রাইজের মালিক আ. রব পালিয়ে যায়। দোকানের কর্মচারী আপন চৌধুরি ওই ব্যাটারিগুলো চান্দুর বলে স্বীকার করে। ব্যাটারি ক্রয়ের সময় আপন উপস্থিত ছিল বলেও জানায়।
কর্মচারী আপনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী সজিব ও মুরাদকে আটক করে পুলিশ। সেইসাথে অটোরিকশাসহ চারটি ব্যাটারিও উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় চান্দু মিয়া বাদী হয়ে আটক তিনজন সহ মাহীদ অটো এন্টারপ্রাইজের মালিক বার্ত্তাকোনা গ্রামের ফজল হকের ছেলে আ. রব (৩২), বড়কাশিয়া গ্রামের মো. সিদ্দিক মিয়ার ছেলে জনি মিয়া (১৯) ও বড় বেথাম গ্রামের ইঞ্জিল মিয়ার ছেলে মিলন মিয়াকে (৩০) আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয়রা জানায়, মাহীদ অটো এন্টারপ্রাইজের মালিক আ. রব এক সময় অটোরিকশা চালাতেন। চুরির মালামাল ক্রয় করে অল্প সময়ে তিনি লাখ লাখ টাকার মালিক হয়ে গেছেন।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. রফিুকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আটকৃত তিন জনকে মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে সামবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের ধরতে চেষ্টা চলছে।
রিপন কান্তি গুণ
১৭/০৭/২০২৩