নিজস্ব প্রতিবেদকঃ দেশের শীর্ষস্থানীয় বীমা প্রতিষ্ঠান যমুনা লাইফ ইনসিওরেন্স এর নামে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিত্তীহীন অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ ঘটনায় রাজধানীর পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে স্বনামধন্য এ প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে। যমুনা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর পক্ষে মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান খন্দকারের দায়েরকৃত ঐ জিডি থেকে জানা যায় – যমুনা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানী লিমিটেডে সারাদেশে প্রায় ২৫০০ কর্মকর্তা – কর্মচারী কাজ করেন। প্রতিষ্ঠানটির বীমা সেবা নিচ্ছেন প্রায় ৮০০০ গ্রাহক। হাজারো কর্মজীবী ও গ্রাহকদের আর্থিক নিরাপত্তা দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি দেশব্যাপী সুনাম কুড়িয়েছে। কিন্ত সম্প্রতি “স্বাধীন বাংলাদেশ ” নামক একটি ফেসবুক ফেক আইডি থেকে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে মিথ্যা, ভিত্তিহীন, গুজব ছড়ানো হচ্ছে। যাতে কোম্পানীর সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে। সাধারণ ডায়েরিতে অপপ্রচারকারী ঐ ফেসবুক আইডি এবং আরো যারা এর সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত পূর্বক আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হয়। উল্লেখ্য, এর আগে গত ৮ সেপ্টেম্বর যমুনা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানী লিমিটেড এর চট্টগ্রাম মডেল সার্ভিস সেন্টারের ইনচার্জ ও উন্নয়ন বিভাগের জেনারেল ম্যানেজার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী, ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মোঃ আতিকুর রহমান, ও মিসির রায়হান কে, কোম্পানীতে অনুপস্থিত এমন বীমা করিয়ে গ্রাহকদের সাথে বিভিন্ন অনিয়ম ও প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্নসাৎ করার অভিযোগে বহিষ্কার করা হয়। এবং তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে বলে অগ্রযাত্রা কে জানিয়েছে যমুনা লাইফ ইনসিওরেন্স কর্তৃপক্ষ। তাদের সাথে কাউকে লেনদেন না করতে ও অনুরোধ জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কোম্পানি সূত্র নিশ্চিত করেছে অপকর্মের জেরে বহিষ্কার হয়ে এই ৩ কর্মকর্তা সাজ্জাদ, আতিকুর ও মিসির প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে প্রতিশোধের অস্ত্র হিসেবে বেছে নিয়েছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে। স্বাধীন বাংলাদেশ নামক ফেইক ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে তারা তাই নানান রকম কুৎসা রটাচ্ছে বলে অভিযোগ প্রতিষ্ঠানটির। কোম্পানি সুত্র আরো জানিয়েছে বহিষ্কৃত এ ৩ কর্মকর্তা গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ করে দেশ ছেড়ে পালানোর পথ খুঁজছেন। অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে যমুনা লাইফ ইনসিওরেন্স কোম্পানি লিমিটেড কর্তৃপক্ষ।