সানজিদ মাহমুদ সুজন শরীয়তপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশজুড়ে বিএনপি সমাবেশ কর্মসূচী শুরু করেছে।মূলত নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন, গুম ও খুনের প্রতিবাদ, দলটির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া মুক্তি ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশের ফেরার সুযোগ তৈরির জন্য সব মামলা প্রত্যাহারসহ নানা দাবিতে দলটি এ সমাবেশের এ ধারাবাহিক কর্মসূচি শুরু করেছে। এটি শেষ হবে ঢাকার সমাবেশের মধ্য দিয়ে।
এর আগে চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, খুলনা, রংপুর ও বরিশাল ও ফরিদপুরে সমাবেশ করেছে দলটি।
বিভাগীয় পর্যায়ে বিএনপি একাধিক সমাবেশ করার পর আওয়ামী লীগও ঢাকা সহ বিভিন্ন জেলা শহরগুলোতে সমাবেশ করছেও করবে বলে ঠিক করেছে।
বিএনপি তাদের সমাবেশেগুলোতে যতটা লোকসমাগম ঘটাচ্ছে, আওয়ামী লীগ তাদের সমাবেশগুলোতে তার চেয়েও বেশি জনসমাগম ঘটানোর চেষ্টা করছে।
আগামী ডিসেম্বর মাসে বিএনপি ঢাকায় এবং আওয়ামী লীগ চট্টগ্রামে বড় ধরনের সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে।
বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং বিরোধী দল বিএনপির সমাবেশ ও পাল্টা সমাবেশকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপের আভাস পাওয়া যাচ্ছে।
প্রশ্ন হচ্ছে, পাল্টাপাল্টি রাজনৈতিক সমাবেশ থেকে দলগুলো কী অর্জন করতে চায়?এ নিয়ে সাধারন মানুষ কিছুটা দূঃশচিন্তায় পরে গেছে, সামনের দিনগুলি নিয়ে।তার সাথে যুক্ত হয়েছে ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধে বাজার অস্থিতিশীলতা।যদি হয় দূর্ভিক্ষ, আবার যদি হয় ১/১১ এর মতো রাজনৈতিক পরিবেশ।
এর মধ্যে আমাদের জন্য সবচেয়ে বড়ো দূঃশচিন্তার ভাজ ফেলেছে কে,এন,এফ সহ পাহাড়ি সংগঠন
গুলোর বিদ্রোহ,শন্তু লারমা শান্তি চুক্তি করলেও তা মানেনি কখনোই।গোপনে এ সকল পাহাড়ি সংগঠন গুলো ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ ও মায়ানমার হতে ভারি অস্ত্র সহ গোলাবারুদ সংগ্রহ ও ট্রেনিং নিয়ে,দেশবিভাজনে নির্বাচনকালিন সময়টুকু বেছে নিয়েছে।
প্রশ্ন হলো মায়ানমারতো তাদের কৌশলগত যুদ্ধ চাপ দিয়ে যাচ্ছে,তার সাথে বন্ধুপ্রতিম ভারত কি চাচ্ছে?আর আমরাই বা কেনো চিকেননেক নিয়ে ভাবছি না?
সবগুলো বিষয় মাথায় রেখে আমাদের দেশের রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। দেশ না থাকলে রাজনীতি করবেন কোথায়?