রাজশাহী ব্যুরোঃ সোমবার (২৯ আগস্ট) দুপুর থেকে দুইটি রুটে, নগরীর কাটাখালি বাজার থেকে তালাইমারি হয়ে সাহেব বাজার থেকে রাজশাহী কোর্ট এবং নওহাটা বাজার থেকে আমচত্বর হয়ে রেলগেট থেকে সিটি বাইপাস হয়ে লক্ষীপুর মোড়- সিএন্ডবি মোড় হয়ে রাজশাহী কোর্ট রুটে ৩০টি বাস নামানো হয়েছে। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী বিভাগীয় সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতির সভাপতি সাফকাত মঞ্জুর বিপ্লব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, অটোরিকশা মালিক ও চালকদের জিম্মি দশা থেকে মুক্ত করতেই আমাদের এই সিদ্ধান্ত। আপাতত ১০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৩০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া নেয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও যাত্রীদের নাগালের মধ্যেই ভাড়া আদায় করতে বলা হয়েছে। তবে খুব তাড়াতাড়িই প্রতিটি রুটে যাত্রীদের সুবিধা বিবেচনা করে ভাড়া নির্ধারণ করে দেয়া হবে।
নগরীর অটোরিকশা মালিক সমিতির সভাপতি শরিফুল ইসলাম সাগর বলেন, ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে যে আন্দোলন চলছে, সেটা আমাদের সমিতির সিদ্ধান্ত নয়। যারা আন্দোলনের নামে হামলা ভাঙচুর করেছে তাদের বিরুদ্ধে সমিতি থেকে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। আগামীকাল নগরভবনে আমাদের ডাকা হয়েছে, সেখানে আমাদের সর্বজন শ্রদ্ধেয় মেয়র মহোদয় যেটা নির্দেশনা দেবেন, আমরা সে অনুযায়ী-ই চলবো।
এদিকে সিটি বাস সার্ভিস চালু হওয়ায় গত দুইদিন ধরে অটোরিকশার ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে অটোচালক ও মালিকদের চলমান আন্দোলনে সার্ভিস বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়া যাত্রীদের মনে ফিরে এসেছে স্বস্তি।
সাধারণ যাত্রীদের চলাচলে যে দুর্ভেোগ তৈরী হয়েছিল, সেটিও হয়েছে অনেকটায় নিরসন।
উল্লেখ্য, অটোরিকশা চালকদের ধর্মঘট শুরু হয় রবিবার সকাল থেকে এতে চরম বিপাকে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। অন্যদিকে ছোট অটোরিকশাগুলো এই সুযোগে ভাড়া বাড়িয়ে দেয়। যেখানে ২০ টাকার ভাড়া ছিল সেখানে আদায় করতে থাকে ৪০-৫০ টাকা। তার পরেও সময়মতো অটোরিকশা পাচ্ছেন না যাত্রীরা। বিশেষ করে সকালে স্কুল-কলেজে যাতায়াতকারী শিক্ষার্থীরা, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিসগামী ও সাধারণ কর্মজীবীরা পড়েছেন চরম দূর্ভোগে।
এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) রাজশাহী জেলা কমিটির সভাপতি ও প্রবীণ সাংবাদিক আহমের শফি উদ্দিন বলেন, এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাচ্ছি ; এটি আরও আগেই হওয়া উচিৎ ছিল। তবে সংঘাতের মাধ্যমে নয় সমঝোতার মাধ্যমেই আমরা আমাদের নগরীকে এগিয়ে নিতে চাই। সিটি বাস সার্ভিস চালুর পাশাপাশি অটোসার্ভিসও চালু রাখতে হবে। তাদের পরিবারও এ নগরীর-ই অংশ। অটোগুলো এখানকার স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য অ্যামবুলেন্সের কাজ করছে, যেটা সিটি বাসে সম্ভব নয় ; স্বল্প খরচে ছোটখাট মালামাল পরিবহনেও অটোগুলো ভূমিকা রাখছে।