সানজিদ মাহমুদ সুজন জেলা প্রতিনিধি:শরীয়তপুরঃ
শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা নদিতে তৃতীয় দিনের মত মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আজ রবিবার (৯-অক্টোবর) সকাল আটটা থেকে জাজিরার মাঝীরঘাট এলাকা থেকে অভিযান শুরু হয়ে নড়িয়ার সুরেশ্বর পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে, বিকাল তিনটায় জাজিরার শফি কাজীর মোড়ে অভিযান শেষ হয়।
উক্ত অভিযানে নৌ-পুলিশ ও নৌ-বাহিনীর সাথে যুক্ত হয় জাজিরা-নড়িয়া উপজেলা মৎস্য দপ্তর ও শরীয়তপুর জেলা মৎস্য দপ্তর। এছাড়া অভিযানে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ কামরুল হাসান সোহেল এর পাশাপাশি মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন বিভাগের প্রকল্প পরিচালক জিয়া হায়দার চৌধুরী অংশগ্রহণ করেন।
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শরীয়তপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রণব কুমার কর্মকার, জাজিরা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবুল বাশার, নড়িয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জাকির হোসেন, জাজিরার মাঝীরঘাট নৌ-পুলিশ ফাড়ির আইসি মোঃ জহিরুল হক, সুরেশ্বর নৌ-পুলিশ ফাড়ির আইসি আবু আব্দুল্লাহ এবং নৌ বাহিনীর একটি চৌকশ টিম বাণৌজা বরকত।
উক্ত অভিযানে ৬জন জেলে, ২৫কেজি ইলিশ মাছ ও দের লক্ষ মিটার জালসহ দুইটি ট্রলার জব্দ করা হয়। আটককৃত ৬জেলেকে জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ কামরুল হাসান সোহেল মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে প্রত্যেকের এক মাস করে কারাদণ্ড দেন, জাল গুলো পুড়িয়ে ফেলা হয়, জব্দকৃত ইলিশ মাছ স্থানীয় হাজী শরীয়তুল্লাত হাফেজীয়া একাডেমী ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে দেয়া হয় এবং একটি ট্রলার ফুটো করে ডুবিয়ে দিয়ে অপরটি জব্দ করে মৎস্য কর্মকর্তার অধীনে রাখা হয়।
আটককৃতরা হলো- জাজিরার আলম খার কান্দি এলাজার কালাম দর্জির ছেলে মোস্তফা দর্জি(৩২), একই এলাকার ইদ্রিসের ছেলে আল ইসলাম(৪০), কালাম দর্জির ছেলে রুবেল দর্জি(৩০) ও বাবর আলী(২০), এছাড়া একই এলাকার আবুল কাশেম দর্জির ছেলে মোঃ লিটন(৪০) এবং মান্নান বেপারীর ছেলে হোসেন বেপারী(২০)।
অভিযান শেষে মৎস্য অধিদপ্তরের ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন বিভাগের প্রকল্প পরিচালক জিয়া হায়দার চৌধুরী বলেন, ৭-২৮ অক্টোবর মোট ২২দিন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম, মাত্র কয়েকটা দিন ইলিশ মাছ ধরা বন্ধ রাখলে পরের সময়গুলোতে আরও অনেক বেশি ইলিশ মাছ পাওয়া যাবে। তাই এই ২২দিন আমাদের অভিযান চলমান থাকবে, এসময় যারাই মা ইলিশ আহরণ করবে তারাই শাস্তির মুখোমুখি হবে।