সানজিদ মাহমুদ সুজন,জেলা প্রতিনিধি শরীয়তপুর ঃ-
শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার ও নড়িয়া উপজেলার অন্তরগত পদ্মা নদীর শাখা হয়ে কুন্ডেরচড় ইউনিয়নের মুল নদীতে ও কীর্তিনাশায় ঢুকতে ও বেশ কয়েকটি জায়গায় নৌপরিবহনে চলে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি। নৌযান সংশ্লিষ্টরা জানায় টোল আদায়ের নামে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা করে চাঁদা গুনতে হয় তাদের। চাঁদা না দিলে অস্ত্রের মুখে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে লুট করা হয় সর্বস্ব। শুধুমাত্র ঘাট ব্যবহারকারীদের জন্য নির্ধারিত ৩০ টাকা ইজারা ধার্য করা থাকলেও মানছে না কেউ। স্থানীয় প্রভাবশালী চক্রের নামে তাদের বংশিয় চাঁদাবাজ নিচ্ছে এ টাকা।বেশ কয়েক জনের নামে তারা থানা ও ঢাকাতে অভিযোগ করেছেন,তাতে তাদের উপরে আরো চাঁদার পরিমান বেড়ে গেছে।
চাঁদা আদায় কারী এক কিশোর বলে, যারা এইখান দিয়ে বালু নিয়ে যাবে তাদের থেকে আমরা টাকা নেই, এই নদিতে আমাদের সম্পদ আছে।তাছারা এর ভাগ অনেকেই নেয়,যা পারেন করেন গিয়া।আপনাদের মতো বহুত লোক দেখছি ৫০০টাকায় বিক্রি হয়।
নড়িয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম ইসমাইল হক বলেন, নাড়িয়া বালু উত্তোলন কারী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে প্রশাসন একাধিক বার অভিযান চালিয়েছে। তার পরেও তারা কাউকে না কাউকে ম্যানেজ করে এই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
জাজিরা উপজেলার কুন্ডেরচড় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন ব্যাপারি বলেন চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও ড্রেজারের বিরুদ্ধে আমি সর্বোচ্চ ভাবে চেস্টা করছি বন্ধ করে দিতে,বেশ কয়েকটি কার্টার আমি বন্ধ করে দিয়েছি।এ সময় তিনি বেশ কয়েকজন চাদাবাজের নাম বলেন,যা তদন্তের সার্থে গোপন রাখা হলো।তবে এ সকল চাঁদাবাজদের চাঁদা আদায়ের কিছু ফুটেজ পাওয়া গেছে।
নদীর পারের এলাকাবাসি বলেন আমরা আমাদের প্রধান মন্ত্রীর এ ব্যাপারে দৃস্টি আকর্ষনে কয়েকবার সমাবেশ করেছি, তাতে কোন লাভ হয়নি,আশা করি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করবেন
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, যদি কেউ টাকা আদায় করে থাকে সেই সংক্রান্ত কেউ যদি অভিযোগ দায়ের করে তাহলে অবশ্যই আমরা এবিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
জাজিরা নৌ পরিদর্শক জহিরুল হক বলেন, চাদাবাজি এক সময় হলেও, নিয়মিত টহলের কারনে তা কমে গেছে,তারপরেও কোন অভিযোগ আসলে আমরা সেখানে যাচ্ছি।চাদাবাজ ও ডাকতদের লিস্ট তৈরী করে বিভিন্ন সময়ে তার জন্য গোপনীয় ভাবে অভিযান অব্যাহত আছে।খুব শিঘ্রই সম্পুর্ন ভাবে আমরা সকল ধরনের দূর্নিতি প্রতিরোধে
সক্ষম হবো।