সোহেল রানা,কুড়িগ্রামঃ
কুড়িগ্রামে শীতকালীন বিভিন্ন প্রকার সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় উৎপাদন ও ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন তারা। তবে সার ও কীটনাশকের মুল্য বৃদ্ধিতে উৎপাদন নিয়ে কিছুটা শংকায় আছেন অনেকেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, সেপ্টেম্বর মাস থেকে কুড়িগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় শুরু হয়েছে শীতকালীন সবজি চাষ। অনুকূল আবহাওয়ায় মাঠ জুড়ে শোভা পাচ্ছে লাউ,সিম,ফুলকপি, বাধাকপি, বেগুন, মুলা ও বিভিন্ন প্রকার শাক সবজির ক্ষেত। নিড়ানি, কীটনাশক প্রয়োগ ও সেচ প্রদানে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষক ও কৃষাণীরা। আবার কোথাও কোথাও আগাম সবজি বিক্রিও করছে অনেক চাষী।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, চলতি শীত মৌসুমে কুড়িগ্রাম জেলার ৯টি উপজেলায় প্রায় ৭ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন নানা জাতের সবজি চাষের লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারন করা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত অর্জিত হয়েছে ২ হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর জমিতে।
রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নের কৃষক নজরুল ইসলাম বলেন, কপি চাষে বর্তমানে এক একর জমিতে খরচ যাবে প্রায় ১ লাখ টাকা। কারণ সার ও কীটনাশকের দামটা একটু বেশি। তার পরেও বর্তমান যে বাজার আছে এই রকম বাজার থাকলে লাভ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। পরে যদি বাজার পড়ে যায় তাহলে লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি।
ওই এলাকার সিম চাষী মাহাবুব রহমান বলেন, গত বছর ১ বিঘা জমিতে সিম চাষ করে ভালোই লাভবান হয়েছি। আশায় আশায় এবারও এক বিঘা জমিতে সিম চাষ করছি। এবার ক্ষেতে ভাইরাস ধরছে পাতা পেকে যাচ্ছে। ঔষধ দিচ্ছি কোন কাজ হচ্ছে না। কি যে হবে চিন্তায় বাঁচি না।
কৃষকরা জানিয়েছেন অনুকূল আবহাওয়ায় এবার সবজির আবাদ ভালো হয়েছে। বাজারে প্রত্যাশিত দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে। তবে সার ও কীটনাশকের সহজলভ্যতা থাকলে আরও লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত বলেন, কুড়িগ্রাম জেলায় এবছর শীতকালীন শাক সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭ হাজার ২শ ৫০ হেক্টর। ইতিমধ্যে ২ হাজার ৬শ ৫০ হেক্টর জমিতে অর্জিত হয়েছে। আশা করা যায় যেহেতু অনুকূল আবহাওয়া আছে পর্যাপ্ত ফলন হবে। কৃষকরা আর্থিক ভাবে লাভবান হবে। আমাদের বর্তমানে সারের মজুদও আছে এ ব্যাপারে কৃষকদের হতাশ হবার কোন কারণ নেই।