মেহেদী হাসান শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
শেরপুর সদর উপজেলার ৫নং ধলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সীমাহীন দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, পেশি শক্তির দাপটসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ৯জন ইউপি সদস্য রেজুলেশন করে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন।
এঘটনায় গত ১৩ জুন ইউপি চেয়ারম্যানের সীমাহীন দূর্ণীতির অভিযোগ এনে জেলা প্রশাসক বরাবর অনাস্থা প্রস্তাব এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অনুলিপি দেন ইউপি সদস্যরা।
তবে দীর্ঘদিন অনাস্থা প্রস্তাবটি ঝুঁলে থাকায় একপর্যায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে চেয়ারম্যান এবং মেম্বারদের মাঝে সমঝোতা করে এলাকার উন্নয়নে সম্মিলিত ভাবে কাজ করার জন্য বলা হয়। কিন্তু এর রেশকাটতে না কাটতেই পূণরায় চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব করেন ইউপি সদস্যগণ। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইতে শুরু করেছে।
অপরদিকে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব করেও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস এর কাছে কোন প্রতিকার পাননি ইউপি সদস্যরা এনিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।
এব্যাপারে ইউপি সদস্য উজ্জল মিয়া জানান, চেয়ারম্যান সাহেব ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে ওয়ার্ড সদস্যদের কোনো প্রকার পাত্তা না দিয়ে নিজের ইচ্ছামত সবকিছু একাই করে যাচ্ছেন। প্রতিবাদ করলে তিনি বিভিন্নভাবে আমাদের ভয়ভীতি দেখান। কোন বরাদ্দের বিষয়ে আমাদেরকে অবগত না করে তিনি একাই সিদ্ধান্ত নেন।
১নং ওয়ার্ডের মেম্বার নিটু মিয়া বলেন, চেয়ারম্যানের অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধে এবং হতদরিদ্র মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তার অপসারণের দাবিতে আমরা বৈঠক করে রেজুলেশনের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করি।
আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বলেন, আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করতে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র চলছে। মেম্বারদের অনৈতিক আবদার পূরণ করতে না পারায় আমি পরিস্থিতির স্বীকার। এর আগেও তারা একটা অভিযোগ করেছিলেন সেটি সমাধান হয়ে গেছে। তিনি আরও বলেন অনাস্থার বিষয়ে অনেক মেম্বার কিছুই জানেননা। কিছু দালাল প্রকৃতির লোক উস্কানি দিয়ে এমনটা করাচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহনাজ ফেরদৌস অনাস্থা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যদি ১০কার্য দিবসের মধ্যে চেয়ারম্যান মেম্বারদের মধ্যে কোন সমাধান না আসে সেক্ষেত্রে একটি তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হবে। তদন্তে সততা পাওয়া গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।