দৈনিক গণতদন্ত’র চীফ রিপোর্টার সাংবাদিক শামীম চৌধুরীর বাসার পানির লাইন টি তার সহোদর ছোট ভাই এবং তার স্ত্রী মিলে অন্যায় ভাবে বন্ধ করে দিয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। ৫ নভেম্বর সকালে ঘুম থেকে উঠে সাংবাদিক শামীম চৌধুরী দেখতে পান যে তার পানির লাইন বন্ধ। এমতাবস্থায় খোজ নিয়ে তিনি জানতে পারেন যে তার সহোদর ছোট ভাই ফারুক ও তার স্ত্রী পানির ট্যাংকি থেকে সাংবাদিকের সংযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। জীবন রক্ষাকারী ও দৈনিন্দন গৃহস্তালি কাজে নিত্য ব্যবহার্য অতি প্রয়োজনীয় পানি থেকে কাউকে বঞ্চিত করা শুধু অমানবিক নয় তা অপরাধ মুলক গর্হিত কাজ বলে বিজ্ঞমহল মনে করেন। এ বিষয়ে সাংবাদিক শামীম চৌধুরী বলেন – কাউকে পানির প্রাপ্যতা থেকে অন্যায় ভাবে বঞ্চিত করা আইনি মতে সম্পূর্ণ অপরাধ ও অমানবিক বটে । আমার বিবেকে আসেনা কতটা নিকৃষ্ট মনের হলে বড় ভাইয়ের সাথে এমন জগন্যতম কাজ করতে পারে। সে কেন পানি বন্ধ করে দিয়েছে এ কারন জানতে চাইলে শামীম চৌধুরী জানায় পানির বিল বকেয়া আছে সে কারণে পানি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে শামীম চৌধুরী বলেন- যখন ছোট ভাইকে বললাম যে মাসে সম্পত্তি বন্টন হয়েছে, সেই মাস থেকে পানির বিল দাবি করতে পারবে। এই কথা বলার পরিপেক্ষিতে তার স্ত্রী সহ আমার উপর মারমুখী আচরন ও আক্রমন করার চেষ্টা করে। আমার কথা হচ্ছে, মা মারা যাওয়ার পর ছোট ভাই ফারুক নিজের ইচ্ছায় যেহেতু পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস বিল পরিশোধের দায়িত্ব নিয়েছে, সেখানে আমাদের অন্য ভাই বোনদের মাঝে এ বিষয়ে কোনও প্রকার অসম্মতি ছিলোনা। কিন্তুু ছোট ভাই ফারুক প্রায় সময় পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস বিল পরিশোধ না করে অহেতুক পারিবারিক সমস্য সৃষ্টি করতো। এখনো বিল পরিশোধ না করে সমস্য সৃষ্টি করে রাখছে। সম্পত্তি বন্টন নামা দলিলে স্পষ্ট উল্লেখ আছে, যেহেতু পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ওয়ারিশ সুত্রমতে পাওয়া, সেহেতু ভাই বোন সকলের সমান অধিকার থাকবে। এখনো পানি,বিদ্যুৎ, গ্যাস যৌথ অবস্হায় অবিদ্যমান আছে। তা ছাড়া লাইন আলাদা করতে সময়ের ব্যাপার। টাকা পয়সার ব্যাপার। এ বিষয়ে থানা পুলিশ, আদালত না করে পারিবারিক ভাবে সমাধানের লক্ষে যথারীতি গ্রামের বাড়িতে বড় বোনকে সমস্যার কথা ফোনে অবগত করলে উনি এক পর্যায়ে সমাধান দিতে সক্ষম হয়েছেন। তবে পুনরায় এ ধরনের অপরাধ করলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।