বৃহস্পতিবার , ৩ নভেম্বর ২০২২ | ৯ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
  1. অপরাধ
  2. অভিযান
  3. অভিযোগ
  4. অর্থনীতি
  5. আইন-আদালত
  6. আগুন দুর্ঘটনা
  7. আটক
  8. আন্তর্জাতিক
  9. আরো
  10. আলোচনা সভা
  11. ইসলামিক
  12. উদ্ধার
  13. কবিতা
  14. কমিটি গঠন
  15. কৃষি সংবাদ

স্বল্প খরচে কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোস্ট তৈরিতে সফল হয়েছেন সিরাজগঞ্জের টুক্কু মুক্তার নামের তরুণ উদ্যোক্তা।

প্রতিবেদক
ঢাকার টাইম
নভেম্বর ৩, ২০২২ ২:০৯ অপরাহ্ণ

 

মোঃ নাহিদ হাসান নয়ন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার সয়দাবাদ ইউনিয়নের পোড়াবারড়ী গ্রামের মুক্তার ভাড়া কৃত জমির আঙিনায় ছায়াযুক্ত ৬ শতক জমিতে ৬টি বেড় স্থাপন করেছেন। এতে এক বছরের মধ্যে তিনি পেয়েছেন সফলতা।

মুক্তার বলেন, ২০২০ সালের শেষের দিকে সরকারিভাবে প্রশিক্ষণ নিয়ে ৩টি রিং দিয়ে প্রাথমিকভাবে কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন শুরু করি। সরকারি প্রশিক্ষণ অনুযায়ী, রিংয়ের মধ্যে আবদ্ধ অবস্থায় বেশি সার উৎপাদন না হওয়ায় এবং খরচ খানিক ব্যয়বহুল হওয়ায় ইউটিউব দেখে এই চাষের পদ্ধতি শিখতে থাকি। পরে নিজের মেধা খাটিয়ে ভিয়েতনাম পদ্ধতি অনুসরণ করে ৬ শতক জমিতে ৬টি বেড তৈরি করে মাত্র ৬০ দিনে এই সার ব্যবহার উপযোগী করে তোলা হয়। বর্তমানে উৎপাদনকৃত কেঁচো সার- ড্রাগনচাষি, মাল্টাচাষি, ছাদ বাগানি, সবজি চাষিসহ এনজিও কর্মীরা কিনে থাকেন। স্বল্প খরচে উৎপাদন হওয়ায় বর্তমান বাণিজ্যিকভাবে প্রসার লাভ করেছে কেঁচো সার।

ড্রাগন ফল চাষি শহিদুল ইসলাম বেঙ্গলনিউজ টোয়েন্টিফোরকে জানান, গত তিন মাস আগে মুক্তারের কাছ থেকে ৭০০ কেজি কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোস্ট সংগ্রহ করেন তিনি। কেঁচো সার ব্যবহারের ফলে তার বাগানের ড্রাগন ফল বাজারের ড্রাগন ফলের চেয়ে অনেক রসালো ও সুমিষ্ট হয় এবং দ্রুত সময়ে অনেক বড় হয়। দ্বিতীয় ধাপে তিনি দুই টন কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোস্ট সংগ্রহ করে ড্রাগন ফলে ব্যবহারের পাশাপাশি ফুলকপি ও বাঁধাকপিতে এই সার প্রয়োগ করছেন।

ছাদ বাগানি রাসেল রহমান জানান, তার ছাদ বাগানে ২০০টি ফুল ও দেশীয় ফলের গাছের জন্য তিন মাস আগে ৩০০ কেজি কেঁচো সার ব্যবহার শুরু করেন। গাছে ব্যবহারে তিনি রাসায়নিক সারের চেয়ে বেশি উপকৃত হচ্ছেন এবং অনেক টাকা সঞ্চয়ও হচ্ছে।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. রোস্তম আলী বলেন, ‘কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোস্ট সারের সব ধরনের উপাদান থাকে যা অন্য সারে থাকে না। যার কারণে সিরাজগঞ্জে রাসায়নিক সারের ব্যবহার ছেড়ে কেঁচো সারের দিকে ঝুঁকছেন কৃষকরা। ফলে জেলার বিভিন্ন এলাকায় বাণিজ্যিক ভিত্তিতেও শুরু হয়েছে ভার্মি কম্পোস্ট বা কেঁচো সারের উৎপাদন।’

এই সার ব্যবহারে মাটির জৈবশক্তি বৃদ্ধি করে এবং নিরাপদ খাদ্য উৎপাদনে কেঁচো সার বা ভার্মি কম্পোস্ট সারের কোনো বিকল্প নেই বলে তিনি জানান।

সর্বশেষ - সারা দেশ

ওয়েবসাইট ডিজাইন প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট