মোঃ শহিদুল ইসলাম খান সিরাজগঞ্জঃ বাংলাদেশের স্থপতি বাঙালির জাতির জনক বলেছিলেন, সব দেশে সোনার খনি বা হীরার খনি, আমার দেশে চোরের খনি, ৭ কোটি দেশের জনগণ ৮ কোটি কম্বল নিয়ে আসলাম আমার কম্বলটা পেলাম না, যে ব্যক্তি এই কথাটি বলেছিলেন ,আজ, তাহার পরিবার এবং তাহার রাজনৈতিক দল চুরির কারণে দেশ ছেড়ে পলায়ন এবং কি স্বৈরাচার সিল তাদের গায়ে লেগে গেছে এবং সকল নেতাকর্মী একই পথের পথিক হয়ে দেশে এবং বিদেশে পলায়ন করে বেড়াচ্ছে ।
বাংলাদেশ ছিল পূর্ব পাকিস্তান ,এই দেশ পরিচালনা করতো পশ্চিম পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী, সেই সময় বাংলাদেশের যা কিছু উৎপন্ন হতো এবং আয় হত সমস্ত কিছু পশ্চিম পাকিস্তান নিয়ে যেত ,কারণ তাহারা পশ্চিম পাকিস্তান এবং পূর্ব পাকিস্তান শাসন করতো , পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ অর্থাৎ বাংলাদেশের জনগণ এইসব অনিয়ম দুর্নীতি মেনে নিতে নারাজ এবং বাংলাদেশের ভাষা ছিল উর্দু সবদিক দিয়ে বাংলাদেশের অর্থাৎ পূর্ব পাকিস্তানের লোকজনকে ঠকানো হতো তাদের শুধু ব্যবহার করা হতো পশ্চিম পাকিস্তানের নিঃস্বার্থের জন্য, দেশের সকল আয় সকল কিছু ভোগ করতো পশ্চিম পাকিস্তান, যার ফলে বাঙালি জাতি সকলেই এক হয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠীর বিপরীতে অবস্থান গ্রহণ করেন ঘোষণা দেন আমরা আপনাদের নেতৃত্ব মানিনা মানবোনা আমরা আলাদা দেশ হিসাবে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করব নাম হবে বাংলাদেশ মাতৃভাষা হবে বাংলা।
এরি ধারাবাহিকতায় দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ,লক্ষ লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বা রক্তের বিনিময়ে পাকিস্তান গোষ্ঠী বাংলাদেশের কাছে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে পূর্ব পাকিস্তানকে বাংলাদেশ নামে এবং রাষ্ট্রভাষা বাংলা ভূষিত করে ক্ষমতা হস্তান্তর করে তাহারা বাংলাদেশকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃতি দেন ।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর এই দেশে দীর্ঘ প্রায় ৫৬ বছর বাংলাদেশের আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং জাতীয় পার্টি সাথে কিছু শরিকদল নিয়ে বারবার সরকার গঠন করেন
এদেশে এখন প্রায় ৩০টির ঊর্ধ্বে রাজনৈতিক দল রয়েছে,
তাদের মধ্যে বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ,বিএনপি, জাতীয় পার্টি ,বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী, হেফাজতে ইসলাম ,বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিস ,নাগরিক অধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য, এলডিপি, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন দল এন সি পি, ইত্যাদি আরো অনেক নতুন রাজনৈতিক দল বর্তমানে আত্মপ্রকাশ করিতেছে এছাড়াও পূর্বে আরো অনেকটি রাজনৈতিক দল এদেশে বিদ্যমান রহিয়াছে।
বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি এই দেশে দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিলেন, এই রাজনৈতিক দলের প্রধান হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ এই জাতীয় পার্টি এই রাজনৈতিক দল তাদের দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকাকালীন তাহারা দেশের প্রতি বা দেশের মানুষের প্রতি যে ধরনের আচরণ করেছেন এবং তারা জোর করে দীর্ঘদিন ক্ষমতা ধরে রেখেছিলেন, যার ফলে পরবর্তীতে তাহারা স্বৈরাচার পদে ভূষিত হয়ে বড় রাজনৈতিক দল থেকে এখন ক্ষুদ্র রাজনৈতিক দলে পরিচিত হয়ে দেশে তাদের কার্যক্রম চালাচ্ছেন । এই দল আবার দীর্ঘদিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাথে হাত মিলিয়ে তাহারা দ্বিতীয় স্বৈরাচার হিসাবে এদেশে চিহ্নিত হয়েছেন।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এই দলটি এদেশে অনেকবার ক্ষমতায় এসেছেন তাদের সরকার এবং তাদের সকল ধরনের নেতা বর্গ কেমন আচরণ করেছেন দেশ দেশ এবং দেশের জনগণের সাথে সেটা দেশের জনগণ ভালো করেই জানেন তাদের সাথে শরিক দল হয়ে বাংলাদেশ জামাত ইসলামী কয়েকবার কয়েকটি সিটে এমপি মন্ত্রী হয়েছিলেন এই দলটি দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাহিরে আছেন প্রায় ১৮ বছর ।
বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী এ দলটি এখন পর্যন্ত এককভাবে সরকার গঠন করে ক্ষমতায় যেতে পারেননি তাহারা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বড় রাজনৈতিক দলের সাথে কিছু সিট নিয়ে এমপি মন্ত্রী হয়েছেন এছাড়াও এদেশে আরো অনেকগুলো রাজনৈতিক দল রয়েছে যারা এখনো জনগণের ভোটে নির্বাচিত হতে পারেননি যদিও খুব অল্পসংখ্যক এমপি মন্ত্রী হয়ে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সাথে দেশ পরিচালনায় অংশগ্রহণ করেছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তাহারা পূর্বেও দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিলেন এবং কি গত ১৭ বছর একটানা নিজ ক্ষমতা বলে ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন দিয়ে দেশের জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে গণতন্ত্রকে নিজেদের ক্ষমতা বলে সংশোধন করে নিজেরা ক্ষমতা ধরে রেখেছিলেন, এই সময়ে তাহারা অন্যান্য সকল দলের নেতাকর্মীদেরকে বিভিন্ন মামলায় জেল হাজতে রেখেছিলেন, গুম ,খুন ফাঁসি দিয়ে হত্যা এবং কোন রাজনৈতিক দলকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না দিয়ে জাতীয় পার্টি কে সাথী নিয়ে তিন তিনটি বার নিজেরাই জোরপূর্বক সরকার গঠন করেছিলেন ।
বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের দায়িত্ব নিয়েছেন অন্তবর্তীকালীন সবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই সরকারকে কোন দল কতটুকু সহযোগিতা করছেন দেশের জনগণ এবং বর্তমান সরকার ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দীর্ঘ ১৭ বছর এককভাবে ক্ষমতা ধরে রাখার ধরুন অনেকবার এদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সরকারবিরোধী এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করেছেন এবং কি দেশের ছাত্র জনতা একসাথেও অনেকবার আন্দোলন করেছেন কিন্তু সফল হতে পারেননি, গত জুল জুলাই মাসে ছাত্র জনতা এক হয়ে কোটাবিরোধী আন্দোলন করেন পরিশেষে এই আন্দোলন সরকার পতনের আন্দোলনের রূপ নিলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন , এবং ঐ দলের সরকার প্রধান ভারতে পলায়ন করেন এবং দলের অন্যান্য এমপি মন্ত্রী এবং নেতাকর্মী দেশ এবং বিদেশে পলায়ন করেন এবং বর্তমান সরকার কিছু এমপি-মন্ত্রী নেতাকর্মীদের মামলা করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে তাদের দুর্নীতির বিচার করার জন্য ।
বাংলাদেশের জনগণ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন চান ,যাতে দেশের সকল জনগণ নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন যেহেতু বাংলাদেশ মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে ইসলামিক আইনের শাসন ব্যবস্থা চালু সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা এবং তত অনুযায়ী বিচার পরিচালনা করা দুর্নীতি চাঁদাবাজ দেশকে নেশা মুক্ত জুয়া মুক্ত ঘুস মুক্ত এবং সকল
উপদেষ্টাঃ কবি,লেখক ও সাংবাদিক শাহান সাহাবুদ্দিন।,সম্পাদক ও প্রকাশকঃ নাঈম,বার্তা ও বানিজ্যিক কার্যালয়ঃরবিন টাওয়ার পুরানা পল্টন ঢাকা-১০০০
বার্তা ও সম্পাদকীয় বিভাগ:০১৮১৯৪৫৯৫১২