
মোঃ শহিদুল ইসলাম খান সিরাজগঞ্জ
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এই পৃথিবীতে ১৮০০০ (হাজার) মাখলুকাত সৃষ্টি করেছেন, তাহার মধ্যে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইসলাম ধর্মকে তাহার একমাত্র মনোনীত ধর্ম হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন ।
ইসলাম ধর্ম ছাড়াও এই পৃথিবীতে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হিন্দু, খ্রিস্টান ,বৈদ্য ইত্যাদি আরও অন্যান্য ধর্মালম্বী এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন ,মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেন, আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি সুন্দর আকৃতি দিয়ে এবং জ্ঞান বিবেক বুদ্ধি ইত্যাদি দিয়ে , পৃথিবীতে মানুষ জন্মগ্রহণ করার পর তাহার নিজস্ব বিবেক বুদ্ধি জ্ঞান ইত্যাদি খাটিয়ে তিনি কোন ধর্মে প্রবেশ করবেন তিনি নির্ধারণ করবেন এবং তিনি যদি সঠিক পথ অনুসরণ করেন আমি অবশ্যই তাদের সহযোগিতা করে তাদেরকে সঠিক এবং ন্যায় পথের সন্ধান দিব এবং প্রবেশ করাব।
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মুসলিমদের জন্য পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান হিসাবে পবিত্র কুরআনুল কারিম নাযিল করেছেন এবং রাসুল (সাঃ) এর জীবদ্দশায় তিনি যে সমস্ত কাজ করেছেন সেগুলো সুন্নত হিসেবে ঘোষণা দিয়ে তিনি হাদীস শরীফে সেগুলো রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কে লিখিত আকারে প্রকাশ করে হাদিস নামকরণ করেছেন এবং আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেন মুমিন মুসলমানগণ যতদিন আমার সংবিধান পবিত্র কোরআনুল কারীম এবং রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম এর হাদিস বা সুন্নত আঁকড়ে ধরে রাখবে ততদিন পর্যন্ত মুমিন মুসলমানগণ ক্ষতিগ্রস্তের মধ্যে পরবে না এবং পথ ভ্রষ্ট হবে না ।
আমি পবিত্র কোরআন ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের লিখিত সংবিধান হাদিস কে মুমিনদের জন্য পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান বা কোড অফ লাইফ হিসাবে ঘোষণা করেছেন ।
মুসলিমদের পাঁচটি স্তম্ভ হচ্ছে, নামাজ, রোজা, হজ্ব ,যাকাত, এবং কালেমা ,প্রতিটি মুসলিমগণ যাদের উপর নামাজ ফরজ হয়েছে তাহারা প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মসজিদে গিয়ে ইমামের সাথে জামাতে আদায় করবে যদি জামাতে ফরজ নামাজ আদায় করা সম্ভব না হয় তাহলে নিজগৃহে একা বা একাধিক জনবল মিলে জামাতের সহিত আদায় করে নিবে , কোনভাবেই ফরজ নামাজ ছেড়ে দেওয়া বা তরপ করা যাবেনা, করলে কঠিন গুনাহগার হতে হবে।
ফরজ নামাজগুলো আদায় এবং সেই সাথে , সুন্নাত, ওয়াজিব এবং সম্ভব হলে নফল নামাজগুলো আদায় করার জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আদেশ করেছেন এতে অনেক সওয়াব নির্ধারণ করেছেন ।
রোজার ক্ষেত্রেও একই নিয়ম ,প্রতিটি সুস্থ এবং পবিত্র ব্যক্তিগণ রমজানের ৩০ টি রোজা পালন করবেন ,একমাত্র মেয়েদের হায়াস নেফাস অবস্থা এবং অসুস্থ পাগল ইত্যাদি সমস্যা ব্যতীত সকল সুস্থ মুমিন মুসলমানের জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন রোজা ফরজ করেছেন অবশ্যই মুমিন মুসলমান সকলকেই পালন করতে হবে না করলে কঠিন গুনাহগার হতে হবে যেকোনো সমস্যার কারণে রমজান মাসে রোজা ছুটে গেলে সেটা পরবর্তীতে আদায় করে নিতে হবে ।
শারীরিক সমর্থন থাকলে আরবি মাসের চাঁদে চাঁদে নফল রোজা র্রাখলে অনেক সওয়াব পাওয়া যায় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ঘোষণা দিয়েছেন ।
হজ্ব এর ক্ষেত্রে সকলের জন্য হজ্ব কর ফরজ নয়, যেহেতু হজ্ব করতে অনেক অর্থের প্রয়োজন, সেজন্য একমাত্র যাদের আর্থিক অবস্থা ভালো এবং অনেক টাকার মালিক তাদের উপর হজ্ব ফরজ করেছেন মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন , বাকি গরিব লোকদের উপর হজ্ব ফরজ নয়, ধনীদের হজ্ব করার ক্ষেত্রে কিছু বাধ্যকতা বা নিয়ম অনুসরণ করতে হয়, যেমন হজ্বে গমনের সময় বিবাহ উপযোগী ছেলে এবং মেয়ে ঘরে থাকলে তাদের বিয়ে দিয়ে তারপরে হজ্ব করতে যেতে হয় এবং শারীরিক সক্ষমতা থাকতে হবে ,সেখানে যেহেতু লক্ষ লক্ষ লোকের সমাগম হয়। যদি আর্থিক অবস্থা হজ্ব করার মত সামর্থ্য না হয় তাহলে তাদের জন্য যাদের সামর্থ্য আছে ওমরা হজ পালন করার জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আদেশ করেছেন ।
যাকাত সকলের উপর ফরজ নয় বছর শেষে পরিবারের সকল ব্যয় বার বহন করার পর হিসাব করে যাদের ঘরে সাড়ে ৫২ তোলা রোপ্য এবং সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ এই পরিমাণ অর্থ বছর শেষে উচ্ছিষ্ট থাকে তাহলে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাহার উপরে যাকাত ফরজ করেছেন।
মুসলিমদের সকলকেই চারটি কালেমা যেমন কালেমা তাইয়্যেবা ,কালেমা শাহাদাত ,কালেমা তাওহীদ, কালেমা তামজীদ এবং এছাড়াও ঈমানে মুজমাল ঈমানে মুফাচ্ছাল আরো কিছু কালেমা এগুলোর অর্থ অনুযায়ী মুসলিমদের জীবন গড়ার জন্য মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আদেশ দিয়েছেন
ইসলামের এই পাঁচটি স্তম্ভের বাহিরেও মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন প্রতিটি মমিন মুসলমানদেরকে সকল ধরনের হালাল খাদ্য দ্রব্য বা বস্তু বক্ষণ বা গ্রহণ করা , এবং সকল ধরনের হারাম খাদ্য দ্রব্য বা বস্ত বর্জন করার জন্য তাগিদ দিয়েছেন , সুদ, ঘুষ , জুয়া খেলা ও সকল ধরনের নেশা গ্রহণ থেকে মহান আল্লাহু রাব্বুল আলামিন বিরত থাকতে আদেশ করেছেন।
,ইয়াতিমের হক ভক্ষণ করা ,চোকলখোরী বা গীবত পরনিন্দা অন্যের হক নষ্ট করা ইত্যাদি গর্হিত কাজ থেকে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রতিটি মুমিন মুসলমানদেরকে দূরে থাকতে বলেছেন ,সদা সর্বদা সকলের সাথে শুআচরণ করা ,সকলের সকল ধরনের বিপদে পাশে গিয়ে দাঁড়ানো ,সকল ধরনের অন্যায় অনিয়ম দুর্নীতি অবিচার থেকে দূরে থেকে ন্যায় বিচারের জন্য আদেশ দিয়েছেন ।
মমিন মুসলমানদেরকে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সকল ধরনের অন্যায় ,অনিয়ম ,দুর্নীতি ইত্যাদি থেকে দূরে থাকার জন্য বিশেষভাবে কুরআনে এবং হাদীস শরীফে ঘোষণা করেছেন ।