তানোরে আলুর ফলন কম হলেও দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি।

প্রকাশিত: ১১:৩৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৪, ২০২৪

সুজন তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি:

আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রাজশাহী তানোরে আলুর ফলন কিছু টা কম হলেও আলুর দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি।গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবেন এমনটাই আশা করছেন স্থানীয় কৃষকরা।তানোর উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে আলু তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন আলুচাষিরা।বুধবার বেলা ১১টায় উপ জেলার বিভিন্ন এলাকার ঘুরে দেখা গেছে মাঠে মাঠে আলুচাষিরা কামলা নিয়ে আলু তুলছেন।সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আলু উত্তোলন নিয়ে দিন পার করছেন আলুচাষিরা।মাঠে গিয়ে দেখা গেছে,ক্রেতারা আলু চাষিদের জমি থেকে আলু ক্রয় করছেন ২৭থেকে ২৮ টাকা কেজি দরে।আলুর ফলন কিছু টা কম হলেও দাম বেশি হওয়ায় এবার লাভের মুখ দেখছেন চাষিরা।তানোর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় দুই হাজার ৬৫০হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল।দুই হাজার ৫৮০হেক্টর জমিতে আলুচাষ হয়েছে চলতি মৌসুমে।আলু লাগানোর সময় বীজের দাম বেশি থাকার কারণে লক্ষ্য মাত্রা অতিক্রম করতে পারেনি বলে দাবি করছেন কৃষি বিভাগ।বুধবার তানোর উপজেলার পারিশো,দুর্গাপুর, মাড়িয়া,কৃষ্ণপুর গ্রামের আলুচাষি আব্দুর রাজ্জাক,ময়েজ জানান,বর্তমানে প্রতি একরে আলু উৎপাদন হয়েছে ১৩ থেকে ১৪ মেট্রিক টন।প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ২৭টাকা থেকে ২৮টাকা কেজি দরে।উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে প্রতি একরে আলূতে লাভ হয়েছে এক লাখ ৯০ হাজার টাকা।একই গ্রামের কৃষক মামুন ও আলম জানান ১ একর জমিতে আলু লাগিয়ে ছিলেন।খরচ বাদ দিয়ে লাভ হয়েছে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা।দেলোয়ার হোসাইন বলেন,৫০ শতক জমিতে তিনি এবার স্টীজ জাতের আলু চাষ করে লাভ হয়েছে ৯৫ হাজার টাকা।কামার গাঁ ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আকবর হোসেন,রাকিব হাসান,মির সুমন রানা বলেন, আলুর বিভিন্ন উপকরণের দামই বেশি ছিল,যখন আলু লাগানো হয়।কৃষকেরা আলুর প্রতি যত্নশীল ছিলেন,কৃষি বিভাগ সব সময় আলুচাষীরদের পরামর্শ ও সহযোগিতা এবং সবসময় খোঁজখবর নিয়েছেন।তানোর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহমেদ জানান,এবার আলুর ফলন কিছু টা কম হলেও দাম বেশি থাকায় কৃষকেরা অতিরিক্ত মুনাফা পেয়েছেন।এবং কৃষি বিভাগ আলুচাষিদের সকল প্রকার সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে আসছেন।তবে আসে পাশে উপজেলার চেয়ে তানোরে আলু বেশী উৎপাদন হয়।তানোরে উৎপাদিত আলু দেশের চাহিদা পূরণে অগ্রণী ভূমিকা রাখছে বলে মন্তব্য করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।