, বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫, ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
তানোরে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত তানোরে পাট চাষে উদ্বুব্ধ করতে কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা বিতরণ  তানোরে জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবসে র‍্যালী ও আলোচনা সভা  তানোরে ভিক্ষুক পুনর্বাসনে ছাগল ও নগদ অর্থ বিতরণ আগামী দিনে দেশ ও দেশের জনগণ যেমন সরকার প্রত্যাশা করেন নওগাঁর বদলগাছীতে কৃষকদের সোনালী স্বপ্ন মাঠ জুড়ে -প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে বাম্পার ফলনে ভরবে কৃষকদের শূন্য গোলা ভাঙ্গায় পুর্ব শত্রুতার জের ধরে ২৫টি বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর-লুটপাট সহ অগ্নিসংযোগ ভাঙ্গায় পূর্বশত্রুতার জেরে একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে জখম, থানায় অভিযোগ ভাঙ্গায় আম পাড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত-২৫ গাজীপুর পূবাইলে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হেনস্তার শিকার সংবাদকর্মী

বাগমারায় মাদ্রাসার জমি রক্ষায় শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মানববন্ধন, মামলা প্রত্যাহারের দাবি

  • প্রকাশের সময় : ১২:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
  • ২২ পড়া হয়েছে

 

 

 

বাগমারা প্রতিনিধি  রাজশাহীর বাগমারায় অবসর প্রাপ্ত মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে মাদ্রাসার জমি জবর দখল ও অধ্যক্ষসহ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগে মানববন্ধন করেছেন মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ এলাকার সচেতন ব্যক্তিরা।বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোপালপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করেন।তবে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অবসর প্রাপ্ত অধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান। জিল্লুর রহমান উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইসলামিয়া ফাজিল স্নাতক মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি একই উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৫৪ সালে উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের স্থানীয় লোকজন ইসলাম শিক্ষার জন্য একটি মাদ্রাসা স্থাপন করেন। তৎকালীন সময়ে এলাকার লোকজন মাদ্রাসা স্থাপনের জন্য জমি দান করেন। তখন থেকেই মাদ্রাসাটি সুন্দর ও সুষ্ঠ ভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। গোপালপুর জেএল নং ৪২৪, আরএস খতিয়ান নং ১৫৩, দাগ নং ৩২৩, রকম ছাড়াবাড়ি, পরিমান ৩২ শতাংশ। উক্ত জমির চারজন মালিকের মধ্যে তিনজন অত্র মাদ্রাসার জন্য ২৬ শতাংশ জমি দান করেন। বাঁকী ৬ শতাংশ জমি ভবানীগঞ্জ ইসলামিয়া ফাজিল স্মাতক মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান ক্রয় করে ভাগবাটোয়ারার মাধ্যমে ভোগদখল করেন।

গত ২৫ মার্চ অধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান তার ভাগ বাটোয়ারা জমি রেখে রাতের অন্ধকারে মাদ্রাসার জমিতে টিনের বেড়া দিয়ে ঘর নির্মানের চেষ্টা করে। ঘটনাটি মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দেখতে পেয়ে তারা টিনের বেড়ার ঘরটি ভেঙ্গে ফেলে দেয়। পরে জিল্লুর রহমান বার বার সেখানে ঘর নির্মানের চেষ্টা করলে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বাঁধা দেয়।তিনি ঘর নির্মান করতে ব্যর্থ হয়ে গত ২৫ এপ্রিল অধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান তার স্ত্রী শামিমার রহমানকে দিয়ে রাজশাহীর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে গোপালপুর ইসলামীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল হোসেনসহ মাদ্রাসার শিক্ষক, পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও শিক্ষার্থীসহ ৭ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৫১১ সি/ বাগমারা।মামলার বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন ফুসে উঠে। ওই ঘটনায় বৃস্পতিবার বেলা সাড়ে এগারোটায় মাদ্রাসা শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকার লোকজন মানববন্ধনের আয়োজন করেন। মানববন্ধনে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল হোসেন অভিযোগ করেন প্রায় ৫০ বছর পূর্ব থেকে অবসর প্রাপ্ত অধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান তার অংশের জমি ভাগবাটোয়ারার মাধ্যমে ভোগ দখল করে আসছে। বর্তমানে তিনি জমিতেই বিভিন্ন ফলের গাছ লাগিয়ে দখলে রেখেছেন। অথচ রাতের আঁধারে তিনি অবৈধ ভাবে মাদ্রাসার জমি জবরদখলের চেষ্টা করেছেন। তার জমির সাথে মাদ্রাসার জমির কোন সম্পর্ক নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।অবিলম্বে মাদ্রাসার জমি দখল থেকে বিরত ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহের দাবী জানিয়েছেন তিনি । মানবন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সদস্য ইসমাইল হোসেন, আবুল বাসার, রবিউর ইসলাম, মাওঃ ওমর ফারুক, প্রভাষক মাওঃ হাফিজুর রহমান, মোজাম্মেল হক, শিক্ষার্থী এস এম শান্ত ইসলাম প্রমুখ এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি দেখভালের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাহিদ হোসেনকে দায়ীত্ব দেয়া হয়েছে।তিনি স্থানটি দেখে মাপ যোকের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন।

জনপ্রিয়

তানোরে আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত

বাগমারায় মাদ্রাসার জমি রক্ষায় শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর মানববন্ধন, মামলা প্রত্যাহারের দাবি

প্রকাশের সময় : ১২:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

 

 

 

বাগমারা প্রতিনিধি  রাজশাহীর বাগমারায় অবসর প্রাপ্ত মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে মাদ্রাসার জমি জবর দখল ও অধ্যক্ষসহ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগে মানববন্ধন করেছেন মাদ্রাসার শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ এলাকার সচেতন ব্যক্তিরা।বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোপালপুর ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করেন।তবে তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অবসর প্রাপ্ত অধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান। জিল্লুর রহমান উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইসলামিয়া ফাজিল স্নাতক মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি একই উপজেলার গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা।খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৫৪ সালে উপজেলার বাসুপাড়া ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের স্থানীয় লোকজন ইসলাম শিক্ষার জন্য একটি মাদ্রাসা স্থাপন করেন। তৎকালীন সময়ে এলাকার লোকজন মাদ্রাসা স্থাপনের জন্য জমি দান করেন। তখন থেকেই মাদ্রাসাটি সুন্দর ও সুষ্ঠ ভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। গোপালপুর জেএল নং ৪২৪, আরএস খতিয়ান নং ১৫৩, দাগ নং ৩২৩, রকম ছাড়াবাড়ি, পরিমান ৩২ শতাংশ। উক্ত জমির চারজন মালিকের মধ্যে তিনজন অত্র মাদ্রাসার জন্য ২৬ শতাংশ জমি দান করেন। বাঁকী ৬ শতাংশ জমি ভবানীগঞ্জ ইসলামিয়া ফাজিল স্মাতক মাদ্রাসার অধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান ক্রয় করে ভাগবাটোয়ারার মাধ্যমে ভোগদখল করেন।

গত ২৫ মার্চ অধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান তার ভাগ বাটোয়ারা জমি রেখে রাতের অন্ধকারে মাদ্রাসার জমিতে টিনের বেড়া দিয়ে ঘর নির্মানের চেষ্টা করে। ঘটনাটি মাদ্রাসার শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা দেখতে পেয়ে তারা টিনের বেড়ার ঘরটি ভেঙ্গে ফেলে দেয়। পরে জিল্লুর রহমান বার বার সেখানে ঘর নির্মানের চেষ্টা করলে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বাঁধা দেয়।তিনি ঘর নির্মান করতে ব্যর্থ হয়ে গত ২৫ এপ্রিল অধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান তার স্ত্রী শামিমার রহমানকে দিয়ে রাজশাহীর বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে গোপালপুর ইসলামীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল হোসেনসহ মাদ্রাসার শিক্ষক, পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও শিক্ষার্থীসহ ৭ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৫১১ সি/ বাগমারা।মামলার বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী, পরিচালনা পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় লোকজন ফুসে উঠে। ওই ঘটনায় বৃস্পতিবার বেলা সাড়ে এগারোটায় মাদ্রাসা শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকার লোকজন মানববন্ধনের আয়োজন করেন। মানববন্ধনে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল হোসেন অভিযোগ করেন প্রায় ৫০ বছর পূর্ব থেকে অবসর প্রাপ্ত অধ্যক্ষ জিল্লুর রহমান তার অংশের জমি ভাগবাটোয়ারার মাধ্যমে ভোগ দখল করে আসছে। বর্তমানে তিনি জমিতেই বিভিন্ন ফলের গাছ লাগিয়ে দখলে রেখেছেন। অথচ রাতের আঁধারে তিনি অবৈধ ভাবে মাদ্রাসার জমি জবরদখলের চেষ্টা করেছেন। তার জমির সাথে মাদ্রাসার জমির কোন সম্পর্ক নেই বলে তিনি জানিয়েছেন।অবিলম্বে মাদ্রাসার জমি দখল থেকে বিরত ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহের দাবী জানিয়েছেন তিনি । মানবন্ধনে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সদস্য ইসমাইল হোসেন, আবুল বাসার, রবিউর ইসলাম, মাওঃ ওমর ফারুক, প্রভাষক মাওঃ হাফিজুর রহমান, মোজাম্মেল হক, শিক্ষার্থী এস এম শান্ত ইসলাম প্রমুখ এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুবুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি দেখভালের জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাহিদ হোসেনকে দায়ীত্ব দেয়া হয়েছে।তিনি স্থানটি দেখে মাপ যোকের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করবেন বলে জানিয়েছেন।