, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
বোয়ালমারীতে বাছুর বিতরণে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ, প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত দরিদ্র মাছচাষীরা। বেলকুচিতে ইউপি সদস্য মোঃ রফিকুল ইসলাম এর জনপ্রিয়তা ঈর্ষান্বিত হয়ে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন অপপ্রচার অভিযোগ – তানোরে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতার ভাই গ্রেফতার সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়াবেড়া ইউনিয়নের সড়াতৈল গ্রামের ফরহাদ সরদারের ছেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়েছেন। বাগেরহাটে সড়ক ও জনপথ নিয়ন্ত্রিত সড়কের দুই পাশের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান শুরু ইএলজিডি সড়ক পাকা (আর সি সি) ঢালায় পরিদর্শন ও উদ্বোধন সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত, গণমাধ্যম কর্মী, জাকির হোসেন- টুটুল। প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ – বোয়ালমারী হাসপাতালে চরম অব্যবস্থাপনা, প্রতিদিন ১৫০ রোগী ভর্তি ৫০ শয্যার হাসপাতালে!

বোয়ালমারীতে বাছুর বিতরণে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ, প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত দরিদ্র মাছচাষীরা।

  • প্রকাশের সময় : ১২ ঘন্টা আগে
  • ৫৮ পড়া হয়েছে

রাকিবুল ইসলাম তুরান
রিপোর্টার :ফরিদপুর

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় মৎস্য অফিসের উদ্যোগে দরিদ্র মাছচাষীদের সহায়তায় বিনামূল্যে ৭৫টি বাছুর বিতরণের কথা থাকলেও, বাস্তবে সেই বাছুরগুলো গরীব ও প্রকৃত প্রাপকদের না দিয়ে ঘুষের বিনিময়ে বিতরণ করা হয়েছে—এমন অভিযোগ উঠেছে উপজেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, প্রতিটি বাছুর প্রদানের ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেয়া হয়েছে। অথচ প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো অর্থ ছাড়াই এসব বাছুর দরিদ্র, দুঃস্থ ও অভাবী মাছচাষীদের মাঝে বিতরণ করার কথা ছিল।

অভিযোগ রয়েছে, যাদের প্রকৃতপক্ষে এই সহায়তা পাওয়ার কথা ছিল, তাদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্তই করা হয়নি। বরং অর্থের বিনিময়ে এমন লোকদের বাছুর দেয়া হয়েছে, যারা প্রকৃত সুবিধাভোগী নয়।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভাবী মাছচাষী বলেন, “আমি আবেদন করেছিলাম, কিন্তু আমাকে বাছুর দেওয়া হয়নি। পরে শুনি, টাকার বিনিময়ে অন্যদের দিয়ে দিয়েছে। আমার মতো গরীবরা তো কোনো দিনই কিছু পায় না।”

এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা বলছেন, বোয়ালমারীর মৎস্য অফিসের দুর্নীতির ইতিহাস নতুন কিছু নয়। প্রাণিসম্পদ অফিস ও ফুড অফিসেও একই ধরনের অনিয়ম চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

একজন স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মী বলেন, “যারা ভাবেন দুর্নীতি আগের সরকারের আমলেই হতো, এখন সব ঠিক হয়ে গেছে, তারা সরোজমিনে এ ধরনের ঘটনা দেখলে উপলব্ধি করবেন বাস্তব চিত্রটা আসলে কেমন।”

তবে মৎস্য অফিসের কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি। যোগাযোগ করা হলে একজন কর্মকর্তা বলেন, “এ ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই, খোঁজ নিয়ে বলতে পারবো।”

এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা। তারা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

জনপ্রিয়

বোয়ালমারীতে বাছুর বিতরণে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ, প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত দরিদ্র মাছচাষীরা।

বোয়ালমারীতে বাছুর বিতরণে ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ, প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত দরিদ্র মাছচাষীরা।

প্রকাশের সময় : ১২ ঘন্টা আগে

রাকিবুল ইসলাম তুরান
রিপোর্টার :ফরিদপুর

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় মৎস্য অফিসের উদ্যোগে দরিদ্র মাছচাষীদের সহায়তায় বিনামূল্যে ৭৫টি বাছুর বিতরণের কথা থাকলেও, বাস্তবে সেই বাছুরগুলো গরীব ও প্রকৃত প্রাপকদের না দিয়ে ঘুষের বিনিময়ে বিতরণ করা হয়েছে—এমন অভিযোগ উঠেছে উপজেলা মৎস্য অফিসের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, প্রতিটি বাছুর প্রদানের ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেয়া হয়েছে। অথচ প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী, কোনো অর্থ ছাড়াই এসব বাছুর দরিদ্র, দুঃস্থ ও অভাবী মাছচাষীদের মাঝে বিতরণ করার কথা ছিল।

অভিযোগ রয়েছে, যাদের প্রকৃতপক্ষে এই সহায়তা পাওয়ার কথা ছিল, তাদের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্তই করা হয়নি। বরং অর্থের বিনিময়ে এমন লোকদের বাছুর দেয়া হয়েছে, যারা প্রকৃত সুবিধাভোগী নয়।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভাবী মাছচাষী বলেন, “আমি আবেদন করেছিলাম, কিন্তু আমাকে বাছুর দেওয়া হয়নি। পরে শুনি, টাকার বিনিময়ে অন্যদের দিয়ে দিয়েছে। আমার মতো গরীবরা তো কোনো দিনই কিছু পায় না।”

এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা বলছেন, বোয়ালমারীর মৎস্য অফিসের দুর্নীতির ইতিহাস নতুন কিছু নয়। প্রাণিসম্পদ অফিস ও ফুড অফিসেও একই ধরনের অনিয়ম চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

একজন স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মী বলেন, “যারা ভাবেন দুর্নীতি আগের সরকারের আমলেই হতো, এখন সব ঠিক হয়ে গেছে, তারা সরোজমিনে এ ধরনের ঘটনা দেখলে উপলব্ধি করবেন বাস্তব চিত্রটা আসলে কেমন।”

তবে মৎস্য অফিসের কোনো কর্মকর্তা এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি। যোগাযোগ করা হলে একজন কর্মকর্তা বলেন, “এ ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই, খোঁজ নিয়ে বলতে পারবো।”

এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন স্থানীয় ভুক্তভোগীরা। তারা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দায়ীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।