–
ভাঙ্গা(ফরিদপুর)প্রতিনিধি–
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার ভাঙ্গা বাজারের ৫৫ নং সদরদী মৌজার, খতিয়ান নং ২১২,২৯৪, দাগ নম্বর ৬৪১,৬৪২, ভিপি- ৮৪/৭৪-৭৫ নং কেসের জমির পরিমান ২৪.৫৫ শতাংশ জমি নিয়ে এবং ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের হোল্ডিং আপিল বিভাগের পেশকার দুর্নীতিবাজ মেহেদী হাসান অনিক অনিয়মের কারণে প্রকৃত জমির দখলদার মালিক জমি পেতে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী খোকন মুন্সী।
আজ রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টার দিকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
ভাঙ্গা বাজার ব্যবসায়ী মৎস্যজীবী এবং ভুক্তভোগী খোকন মুন্সী সাংবাদিকদের সামনে উপস্থিত হয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন, ভাঙ্গা বাজারের মাঝখানে আমার পিতা সোহরাব মুন্সী নামে প্রায় ২৫ শতাংশ ভিপি জমি ভোগ দখল করে আসছিল। আমার পিতার মৃত্যুর পর সেই জায়গাতে আমি মাগুর মাছ চাষ করে আয় রোজগার করে সংসার চালিয়ে আসছি এবং সেই জায়গাটি অদ্যবতী আমি ভোগ দখল করে আছি। পিতার মৃত্যুর পর সেই ভিপি ২৪.৫৫ শতাংশ জমি নাম পরিবর্তন করে আমার নামে করতে গেলে ঢাকার পেশকার মেহেদী হাসান অনিকের ক্ষমতার অপব্যবহার করে মোটা অংকের ঘুস নিয়ে আজিজুল হক, শফিউদ্দিন, দলিল উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন গংদের আমাকে হয়রানী করছে। গত ৪-৫ বছর ধরে আমি হয়রানি শিকার হচ্ছি। গত ২২/০৯/২০২০ তারিখে সরজমিন তদন্ত হওয়ার কথা ছিল কিন্তু উক্ত তারিখ না হওয়ায় পরবর্তী ২২/১০/২৩ তারিখ সরজমিন তদন্ত হয়। গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে তদন্তের প্রতিবেদনটি আমার পক্ষে দেওয়া হয়। তখন ৬শতাংশ জমি আমার নামে লিজ দেয় কিন্তু একটি কুচক্রী মহলের তদবিরে বিভাগীয় কমিশনার আমার বিপক্ষে ভাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশন ভূমিকে ফোন দিয়ে প্রতিবেদন আমার বিপক্ষে দিতে বলেন। এসিল্যান্ড বলেন এটা অন্যায় তাই সে এটা করতে পারবে না বলে বিভাগীয় কমিশনার তিনি জানিয়ে দেন। কথাগুলো আমি পরে শুনেছি । এর পিছন থেকে কলকাটি নাড়েন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের হোল্ডিং আপিল বিভাগের পেশকার মেহেদী হাসান অনিক। তাহার তাহার কারণে বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরে হাজার হাজার টাকা নষ্ট করে আমি এখন পথের ফকির আমি পরিচিত আমার সম্পত্তি ফিরে পাওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। খোকন মুন্সী আরও বলেন, ফল না পেয়ে দ্রুত মুনসেফ কোর্টে গিয়ে নিষ্পত্তি মামালার নকল পেশকারের কাছ থেকে জোর পূর্বক নিয়ে অর্পিত সম্পত্তি মোকদ্দমা ৩৯৫২/২০১২,৩৯৫৭/২০১২,৩৯৬৫/২০১২ দায়ের করেন। এই তিন মামালার নকল নিয়ে আমি হাইকোর্টে গিয়ে মামলা চলমান করাই। এই প্রতিবেদনের বিপক্ষে স্টে – করে হাইকোর্টে একটা পিটিশন দায়ের করেন। পিটিশন নং ৯৪৬৫/২০২০। আবার
আমি জানতে পেরে হাইকোর্টে স্ট্রে ভ্যাকেটিং এর জন্য অফিসিয়াল প্রসেসে উকিলের মাধ্যমে ১৫ নং এক্স এন কোর্টে শুনানির জন্য তারিখ পড়লে দেখা যায় ৯৪৬৫ মামলার ফাইল রেকর্ড রুমে পাওয়া যাচ্ছে না। আমাকে অনেক হয়রানির মধ্যে পড়তে হয় । এই হয়রানি মূল নায়ক — এরপর প্রতি সপ্তাহে মামলা উঠানো হয়। এর পর কোর্টের চাপে রেকর্ডরুমে কর্মরত শাহাজান পিওন আরও অনেকেই ১৭/১১/২০২২ তারিখ আমার ফাইল পান।২১/ ১১/২০২২ তারিখে ভ্যাকেটিং করি। আমি সরকারের কাছে দাবি জানাই, আমরা প্রায় ৫০ বছর ধরে ভোগ দখল করা ভিপি সম্পত্তি টুকু আমাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় এবং আমার নামে নাম করণ করা হয়।
৮/৯/২৪