সুজন তানোর (রাজশাহী) প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোর উপজেলার চান্দুড়িয়া ইউনিয়ন ইউপি বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।সোমবার দুপুরের আগে ও পরে চান্দুড়িয়া বাজারে ঘটে সংঘর্ষের ঘটনাটি।এঘটনায় উভয়ের গ্রুপের ৬ জন আহত হয়েছেন।আহতরা হলেন ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আইয়ুব আলী,সে দমদমা গ্রামের মৃত জলিলের পুত্র,ওয়ার্ড যুবদল নেতা জুয়েল,ছাত্রদল নেতা রনি,যুবদল নেতা ওবায়দুর,হেকিম কবিরাজ হাফিজুর রহমান ও আনসার আলী বাবু,রহেদ আলী,সে গুরুতর আহত হওয়ায় রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।এসব আহতদের নাম পাওয়া গেছে।এঘটনায় চান্দুড়িয়া গ্রামের হেকিম হাফিজুর বাদি হয়ে সাবেক চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা মফিজ উদ্দিনকে প্রধান আসামী করে ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে ২৫/৩০ জনকে অজ্ঞাত করে সোমবার বিকেলের দিকে তানোর থানায় এজহার দায়ের করেন।সংঘর্ষের ঘটনায় দুগ্রুপের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন।তবে এজাহারের এক নম্বর আসামী বিএনপির সাবেক উপজেলা সম্পাদক মফিজ উদ্দিন জানান, সংঘর্ষের সময় আমি ছিলাম না।তবে শুনেছি মারপিট হয়েছে।আপনার উপস্থিতে মারপিট হয়েছে এবং ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান,হয়তো ডিপের দখল নিয়ে ঘটতে পারে বলে এড়িয়ে যান তিনি।প্রত্যাক্ষ দর্শীরা জানান,চান্দুড়িয়া ইউপি সচিবের সাথে কথা বলে বাজার মোড়ে মফিজের দোকানের সামনে কথা কাটা কাটির জের ধরে সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়েছে।এজহারে উল্লেখ,গত ৫আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে স্বৈরাচার হাসিনা ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।সেই সুযোগে ওই দিন থেকে ইউপির বিভিন্ন গভীর নলকূপ ও পুকুর দখল,দোকানপাট ভাংচুর লুট করছেন চিহ্নিত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ,ধর্ষন,দুর্নীতিসহ বহু মামলার আসামী মফিজ উদ্দিনের হুকুমে সন্ত্রাসী বাহিনী দখল সহ নানা অপকর্ম করেছেন।গত ৭ আগস্ট দৌলা টেলিকম ভাংচুর লুট করা হয়।সোমবার লোকজনের চিকিৎসা শেষে সকাল ১১ টার দিকে চা খাওয়ার জন্য হাবলের দোকানে বসে।এসময় পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মফিজের হুকুমে সিদ্দিক, রিমনের নেতৃত্বে বাদীর উপর হামলা করা হয়।জানা গেছে, উপজেলায় বিএনপির রাজনীতি দুভাগে বিভক্ত।এক গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য অবসর প্রাপ্ত মেজর জেনারেল শরিফ উদ্দিন এবং অন্য গ্রুপের নেতৃত্বে আছেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সাবেক তানোর পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান মিজান।চান্দুড়িয়া ইউপিতে মিজানের গ্রুপের নেতৃত্ব আছেন আহবায়ক আজাদ ও সদস্য সচিব সাজ্জাদ হোসেন।তারা জানায় সকালে আমরা ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে বলি টিসিবিসহ বিভিন্ন কার্ড প্রকৃত দরিদ্ররা যেন পায়।এসব বলে বাজারে আসলে মফিজ তার ছেলে রিমনসহ কয়েকজন অতর্কিত হামলা চালায় এবং যাকেই একাই পাচ্ছে তাকে ধরে রিমনের নেতৃত্বে মারা হচ্ছে।তারা বাপ ছেলে ত্রাসের রাজনীতির রাজত্ব করতে চায়।আমরা তাদের নোংরা রাজনীতি মানতে চায় না।আমরা সবাই মিলে মিশে রাজনীতি করতে চায় কোন দাঙ্গা হাঙ্গামা করতে চায় না।তারা বাপ ছেলে পুরো ইউপি দখলে নিতে চায়।বাদী হাফিজুর বলেন,আমি লোকজন কে চিকিৎসা দিয়ে হাবলের দোকানে চা খাওয়ার জন্য বসেছি।এসময় মফিজের হুকুমে তারছেলে রিমনেরনেতৃত্বে লাঠি ও লোহার রডসহ যাবতীয় দেশিয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।তাদের হামলায় ৫/৬জন আহত হয়।তাদের মধ্যে রহেদকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং আনসার আলী বাবু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা ধীন রয়েছেন।মফিজ গ্রুপের লোকজন তেমন আহত হয়নি।আমার কাছ থেকে তারা চাঁদা দাবি করে আসছে।দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলা রেকর্ড করে আসামীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।কারন তানাহলে পরিস্থিতি আরো অবনতির দিকে যাবে।সেনা বাহিনী ও পুলিশ টহল দিচ্ছে।উত্তেজনা থাকলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে।আর যাতে এধরণের ঘটনা না ঘটে সে জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর হওয়ার আহবান জানান তিনি।