ধর্ম-বিজ্ঞান ও দর্শনে জ্ঞানের পরিধি স্ফীত হউক” লেখক- অধ্যাপক ডঃ মোহাম্মদ ইউসুফ মিঞা, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রকাশিত: ১০:১৮ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২১, ২০২৪

 

………..চিত্রকর রামকৃষ্ণ আচার্য্য.
নিজস্ব প্রতিবেদক- ঢাকার টাইমস।
…………………………………………..

হেমন্তের শিশির ভেজা অগ্রহায়ণ শুরু। গ্রাম বাংলায় আমন ধান কাটা শুরু হবে। তারপর নবান্নের পিঠা ও আবহমান বাংলার পিঠার উৎসবে বাঙ্গালী মেতে উঠবে। কার্তিকের শুষ্ক আবহাওয়ায় ক্লান্তি শেষে শীতের আমেজ। আমার কী যে ভালো লাগে বাংলার শীতকাল। কারণ জীবনের দীর্ঘ ১৪ বছর চরম শীতপ্রধান দেশ জাপান, ফ্রান্স কানাডা কাটিয়েছি কাজেই বাংলার আয়েশের আরামদায়ক শীত সত্যি সত্যিই উপভোগ্য। নোবিপ্রবির শিক্ষক কর্মকর্তা ডরমিটরি ১ এ চার তলার বারান্দায় হালকা শীতের আমেজে গহীন রাতের নিস্তব্ধতায় ঝিঁঝি পোকার ধ্বনির সাথে বাউল সঙ্গীত উকিল মুন্সির লেখা সুরে শিল্পী বারী সিদ্দিকীর কণ্ঠে

“পূবালী বাতাসে আষাঢ় মাইস্যা ভাসা পানি রে
বাদাম দেইখ্যা চাইয়া থাকি আমার নি কেউ আসেরে…… কতো লোকে যায়রে
নাইওর এই না আষাঢ় মাসে, উকিলেরই হইবে নাইওর কার্তিক মাষের শেষে রে… শুনতে ছিলাম।

কুসুম কুসুম শীতের আমেজে যেনো সত্যি সত্যিই কার্তিকের ধূয়াষা কেটে স্বস্তিকর নবান্নের মাসের বার্তা দিচ্ছে।
ঘুম আসতেছে না তাই আরজ আলী মাতুব্বরের ” রচনা সামগ্রী” পর্ব ১ পড়তেছিলাম।
মাতব্বর সাহেবের দীর্ঘ কালের বন্ধু জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলার প্রয়াত অধ্যাপক মুহাম্মদ শামসুল হকের “কিছু স্মৃতি, কিছু কথা”
অংশ পড়তে পড়তে আরজ আলী মাতুব্বরের জীবনের অনেক কথাই জানা হলো। তিনি একজন স্ব শিক্ষিত দার্শনিক ও অসাধারণ লেখক।
মাতুব্বর সাহেব বলতেন, একটা দেশের সমাজ অশিক্ষা ও কুসংস্কার থেকে মুক্ত হলে দেশের রাজনীতি ও স্বচ্ছ হবে।

যাক সে কথা বাংলার শীতকালের কথা বলছিলাম।
হেমন্তের লগ্নে হালকা শীতের আমেজে মনের মাঝে কী যে উত্তালতায় জ্ঞানের তৃষ্ণায় অবগাহনে ভেসে বেড়ায় কতো শত কথা।
প্রেমহীন সমাজে হৃদয়ের গহীনে মানুষের কল্যাণে চিন্তা চেতনায় বিশ্বাসী হৃদয়বান মানুষের জয়গান হোক এমন প্রত্যাশা।
আবেগ বিবেগের সংমিশ্রণে বিজ্ঞান দর্শন ধর্মের জ্ঞ্যান ও ধ্যান যৌক্তিকতায় মানুষের সচেতনতা ফিরে আসুক।
সমাজের অস্থিরতা কেটে স্বস্তি ফিরে আসুক।

“মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য
একটু সহানুভূতি কী মানুষ পেতে পারে না ও
বন্ধু।”

আরজ আলী মাতব্বরের জীবনের উপলদ্ধি ও ৭০ বছরের নিজে নিজে লেখাপড়া করে লেখা বই যেমন ” সত্যের সন্ধান ” সৃষ্টি রহস্য ও আমার জীবনদর্শন” এর মতো বই গুলো পড়লে সমাজের কুসংস্কার থেকে বের হতে সাহায্য করবে ও সংস্কৃতিসেবী হৃদয়বান বুদ্বিদীপ্ত হতে মননে
অনুঘটক রূপে স্ফুলিঙ্গের বিচ্ছুরন ছড়াবে।
শীতের রাতে চা কফির কাপে আড্ডা ও যুক্তিখন্ডনে হিংসা বিদ্বেষ অহংকার পরশ্রীকাতরতা দূরীভূত হয়ে সমাজের মানুষে মানুষে হৃদ্যতা গড়ে উঠুক এমন আশায় বুক বেঁধে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় রইলাম।

প্রীতি ও শুভেচ্ছা রইলো।