ফিরে আসুক মাতৃভূমির সেই চিরচেনা রূপ

প্রকাশিত: ১২:৩৫ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ২৩, ২০২৪

 

স্টাফ রিপোর্টার :

গ্রাম অঞ্চলে দেখা যেতো সংস্কৃতির একটি অংশ যাত্রা-সার্কার্স,
ছোট্ট বেলা দিনে’রাতে যাত্রা-সার্কার্স দেখার আনন্দটাই ছিলো অন্য রকম এখন আর তেমন টা দেখা যায় না।

তবে দেখা দিয়েছে হিমেল হাওয়া ঠান্ডা-কাশিটা, কবি-সাহিত্যিকদের চোখে শীতের যেমন স্বপ্ন আছে, তেমন আছে প্রসন্নতা-বিষন্নতার আবহ্।

মিঠেরোদ, কুয়াশার চাদর,গৃহস্থের বাড়ির উঠোনের চুলার পাশে বসে বসে হাতের তালু গরম করে নেওয়া,
শীতের সকালে গ্রামে কনকনে ঠান্ডা আর ঘন কুয়াশা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। শীতকালে মাঝে মাঝে শুরু হয় শৈত্যপ্রবাহ।
আর এ সময় তাপমাত্রা খুব নিচে নেমে যায়, হাড় কাঁপানো শীতে মানুষ-জীবজন্তুর পাশাপাশি প্রকৃতি যেন অসাড় হয়ে পড়ে।
শীতের হাত থেকে বাঁচতে মানুষ আপ্রাণ চেষ্টা চালায়। এ সময় শীতবস্ত্র কেনার ধুম পড়ে যায়।

যে য়ার সাধ্য মতো গরম কাপড় কিনে নিজেকে শীত থেকে সুরক্ষার চেষ্টা করে। শীতের সকাল ও রাতে ছিন্নমূল মানুষ আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা চালায়। শীতের সকালে শহর-গ্রামে আগুনের কুন্ডলী তৈরি করে উত্তাপ নিতে দেখা যায় শিশু-বৃদ্ধসহ সব বয়সী মানুষকে। এই আগুন জ্বালিয়ে উত্তাপ নেওয়ার মধ্যে রয়েছে অন্য রকম এক অনুভূতি।

পিছিয়ে পড়া মানুষগুলোর শরীরের শিরশির কাঁপুনি৷
সার্বিক ভাবে শীতের এই চেনা চিত্র অনেকটা হয়ত পরিবর্তিত, কিন্তু শীতকে আজও বরণ করার মানুষের অভাব নেই৷ খেজুরের রস,পাটালি গুড় পিঠে-পায়েস,নলেন গুড়ের সন্দেশ,ধানের ক্ষেতে আগুন জ্বালিয়ে একটু উষ্ণতা নেওয়া, লেপ-কম্বলের উত্তাপ, কুয়াশাঢাকা ভোরে ও সন্ধ্যায় আনন্দ-কষ্টের মিশেল নিয়ে আমাদের জীবনে বেশ একটু যেন আলাদা ভাবেই আসে শীত৷

সত্যি বলতে কি শীত আসে আমাদের প্রকৃতিকে বদলে দিতে।
নতুন করে প্রকৃতিকে সাজিয়ে দেওয়ার পূর্বপ্রস্তুতি, শীতের রিক্ততা পুরনো পাতা ঝরিয়ে দিলেই নতুন পাতা নিয়ে আসে ঋতুরাজ বসন্ত।
তারপরেই চলে যায় শীত।
এমন আনন্দমুখর প্রকৃতির অপেক্ষায় বছর গড়ায়৷ ঠিক সে ভাবেই হেমন্তের পালাবদলে উদাসী কুয়াশার চাদর গায়ে তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে সর্ষে ভরা আর কালাই ক্ষেত মাড়িয়ে শীত আসে বাংলার বুকে।
উৎসব আর আনন্দে শীতকে বরণ করে বাঙালী।
শীতকে কেউ ভেবেছেন উৎসব, কেউ-বা কষ্টের দীর্ঘশ্বাস ,
তাই
রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন- শীতের হাওয়া হঠাৎ ছুটে এলো, গানের হাওয়া শেষ না হতে মনে কথা ছড়িয়ে এলোমেলো, ভাসিয়ে দিল শুকনো পাতার স্রোতে।

কবি-সাহিত্যিকদের চোখে শীতের স্বপ্ন আছে, আছে প্রসন্নতা-বিষণ্ণতার আবহ্।

শীত এখনও শহরে সে ভাবে ছুঁয়ে না দেখতে পারলেও গ্ৰাম অঞ্চলের দিকে শীতের কামড় একটু একটু করে অনুভূত হচ্ছে।

শীতের রোম্যান্টিকতা, উষ্ণতা, আবেশের আর কয়েকটা দিনের অপেক্ষা।
শীত পিপাসুদের অপেক্ষার দিন শেষ হয়ে এল বলে।

এ সময় সরকারি ভাবে ও দানশীল ব্যক্তি এবং বিভিন্ন সংগঠন দুস্থ-গরিবদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করে থাকে।

শীতের কনকনে ঠান্ডায় বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া এবং ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।
এ সময় হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। শীতে বিত্তহীন ও গরিব মানুষের জীবনে দুর্যোগ হয়ে দেখা দেয়। এ সময় তারা অনেকটা মানবেতর জীবন যাপন করে।